কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাসর রাতেই খালেকুজ্জামান ডিউট (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন নববধূ লাভলী আক্তার (২০)।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের শাহ জামালের মেয়ে লাভলী আক্তারের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে খালেকুজ্জামান ডিউটের। 

বৃহস্পতিবার সারা দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও অতিথিদের আপ্যায়নসহ আনন্দ-উৎসব চলছিল। আপ্যায়ন শেষে আত্মীয়, প্রতিবেশী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই বিদায় নেন। রাত ১২টার দিকে নববধূ লাভলী আক্তার ফুলশয্যায় বসে বরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বর খালেকুজ্জামান ডিউট আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা শেষে বাসর ঘরে ঢুকে তার কাছে এক গ্লাস পানি চান। এ সময় চিৎকার দিয়ে মেঝেতে পড়ে যান খালেকুজ্জামান ডিউট। পরে নববধূর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে ডিউটকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ পাননি। বাড়ির লোকজন নিশ্চিত হন যে, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় পারিবারিক কবরস্থানে খালেকুজ্জামান ডিউটকে দাফন করা হয়। 

খালেকুজ্জামান ডিউট ফুলবাড়ী উপজেলার রামপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

লাভলী আক্তারের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম জানিয়েছেন, খালেকুজ্জামান ডিউট প্রায় ১৮ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। ওই সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান আছে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় বৃহস্পতিবার লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন ডিউট। 

তিনি বলেন, কে জানত, বিয়ের রাতেই বরের মৃত্যু হবে। অল্প বয়সে আমার ভাতিজি বিধবা হলো। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। কিন্তু, এটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম মিয়া শোহেল বলেন, নিয়তির ওপর তো কারো হাত নেই। বাসর রাতেই স্ত্রী বিধবা হলো। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা খুবই কম দেখা যায়। 

ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বাসর রাতেই বরের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাসর রাতেই খালেকুজ্জামান ডিউট (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন নববধূ লাভলী আক্তার (২০)।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের শাহ জামালের মেয়ে লাভলী আক্তারের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে খালেকুজ্জামান ডিউটের। 

বৃহস্পতিবার সারা দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও অতিথিদের আপ্যায়নসহ আনন্দ-উৎসব চলছিল। আপ্যায়ন শেষে আত্মীয়, প্রতিবেশী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই বিদায় নেন। রাত ১২টার দিকে নববধূ লাভলী আক্তার ফুলশয্যায় বসে বরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বর খালেকুজ্জামান ডিউট আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা শেষে বাসর ঘরে ঢুকে তার কাছে এক গ্লাস পানি চান। এ সময় চিৎকার দিয়ে মেঝেতে পড়ে যান খালেকুজ্জামান ডিউট। পরে নববধূর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে ডিউটকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ পাননি। বাড়ির লোকজন নিশ্চিত হন যে, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় পারিবারিক কবরস্থানে খালেকুজ্জামান ডিউটকে দাফন করা হয়। 

খালেকুজ্জামান ডিউট ফুলবাড়ী উপজেলার রামপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

লাভলী আক্তারের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম জানিয়েছেন, খালেকুজ্জামান ডিউট প্রায় ১৮ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। ওই সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান আছে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় বৃহস্পতিবার লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন ডিউট। 

তিনি বলেন, কে জানত, বিয়ের রাতেই বরের মৃত্যু হবে। অল্প বয়সে আমার ভাতিজি বিধবা হলো। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। কিন্তু, এটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম মিয়া শোহেল বলেন, নিয়তির ওপর তো কারো হাত নেই। বাসর রাতেই স্ত্রী বিধবা হলো। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা খুবই কম দেখা যায়। 

ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ