বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত, জানালেন তামিম
Published: 3rd, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।
জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনে’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।
শনিবার (৩ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।
তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করব—যারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।’
সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, ‘অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।’
তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, ‘যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চার পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের আগে একাধিক স্তরে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েত হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক লোক আসবে। সেখানে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সেজন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিকেল ৫টায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যম অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
* সকাল ১১টায় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
* বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন।
* সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে বিশেষ ড্রোন শো।
* রাত ৮টায় জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের পরিবেশনার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
ঢাকা/এমআর/রফিক