এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: জীববিজ্ঞানে বেশি নম্বর পাওয়ার উপায় জেনে নাও
Published: 5th, May 2025 GMT
জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষার আগে তুমি সময় পেয়েছ। ভালো করে রিভিশন দেবে, কারণ তুমি পরীক্ষার আগে সময় পেয়েছ। এ বিষয়ে মোট ১৪টি অধ্যায় রয়েছে। বহুনির্বাচনি অংশে ২৫ নম্বর, সৃজনশীল অংশে ৫০, ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে।
বহুনির্বাচনি অংশ—বহুনির্বাচনি অংশে প্রতিটি অধ্যায় থেকে কমপক্ষে একটি করে প্রশ্ন থাকবে। কোনো অধ্যায় থেকে একের বেশিও প্রশ্ন থাকতে পারে। সুতরাং বহুনির্বাচনি অংশে ভালো নম্বরের জন্য পুরো বইয়ের সব অধ্যায়ের বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ ও চিত্রের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।
সৃজনশীল অংশ—সৃজনশীল অংশে ৮টি প্রশ্ন থেকে ৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় বরাদ্দ থাকবে ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। সৃজনশীল অংশে ভালো নম্বরের জন্য জীবনপাঠ, জীবকোষ ও টিস্যু, জীবনীশক্তি, খাদ্য, পুষ্টি ও পরিপাক; জীবে পরিবহন; রেচনপ্রক্রিয়া; জীবের প্রজনন; জীবের বংশগতি ও বিবর্তন অধ্যায় মনোযোগসহকারে পড়তে হবে। সৃজনশীল অংশের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর বুঝে লেখবে, প্রয়োজনে ছবি আঁকবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন কীভাবে লিখবে—ক.
উদাহরণস্বরূপ প্রশ্ন করা হলো, ক্লোরোসিস কাকে বলে? সংজ্ঞাটি সঠিকভাবে লিখতে পারলে শিক্ষার্থী বরাদ্দকৃত পূর্ণ ১ নম্বর পাবে।
খ. নম্বর প্রশ্নটি অনুধাবনমূলক। এখানে পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের আলোকে কোনো বিষয়কে ব্যাখ্যা করতে হয়; যেমন প্রশ্ন করা হলো, পিটুইটারিকে কেন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয়? উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির সংজ্ঞার আলোকে পিটুইটারিকে ব্যাখ্যা করতে পারলেই বরাদ্দ করা পূর্ণ ২ নম্বর পাবে।
গ. নম্বর প্রশ্নটি প্রয়োগমূলক। ধরা যাক, উদ্দীপকের চারটি চিত্রের মধ্যে অগ্ন্যাশয়কে P দ্বারা চিহ্নিত করা হলো। প্রশ্ন করা হলো, P চিহ্নিত অঙ্গটির গঠন বর্ণনা করো। উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে P চিহ্নিত অংশটি চিনতে পারলে ১ নম্বর পাবে। অঙ্গটির অবস্থান চিহ্নিত করলে বা অঙ্গটি সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা দিতে পারলে ২ নম্বর এবং অঙ্গটি চিনে অবস্থান উল্লেখ করে এর গঠন বর্ণনা করতে পারলেই বরাদ্দ করা পূর্ণ ৩ নম্বর পাবে।
ঘ. নম্বর প্রশ্নটি উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক। ধরা যাক, উদ্দীপকের চারটি চিত্রের মধ্যে ডিম, রুটি ও ঘি—এ তিনটি খাদ্যকে Q, R ও S দ্বারা চিহ্নিত করা হলো।
প্রশ্ন হলো Q, R, S তিনটি খাদ্যের পরিপাকে কোনটিতে সবচেয়ে কম এনজাইম প্রয়োজন? পরিপাক পদ্ধতি বর্ণনা করে মতামত দাও।
উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে কোনটি কোন ধরনের খাদ্য, তা লিখতে পারলে ১ নম্বর পাবে। কোন খাদ্যের পরিপাকনালির কোন অঞ্চলে হয়, তা লিখলে ২ নম্বর পাবে। খাদ্য তিনটির ধরন, পরিপাক কোন অংশে সম্পন্ন হয়, খাদ্য তিনটির পরিপাক পদ্ধতি লিখতে পারলে ৩ নম্বর পাবে। খাদ্য তিনটির ধরন, পরিপাক কোন অংশে সম্পন্ন হয়, তিনটি খাদ্যের পরিপাক পদ্ধতি উল্লেখ করে কোন খাদ্যে সবচেয়ে কম এনজাইম প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত প্রদান করতে পারলেই বরাদ্দ করা পূর্ণ ৪ নম্বর পাবে।
চিত্র আঁকবে সঠিকভাবে—১. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে সম্পকি৴ত চিত্র সঠিকভাবে আঁকা গুরুত্বপূর্ণ। এতে বেশি নম্বর পাওয়া সহজ হবে।
২. পরীক্ষার হলে চিত্র আঁকার ব্যাপারটি সহজ ও দ্রুত করতে হলে এখন পরীক্ষার আগে তুমি বাসায় চিত্র আঁকাবে।
৩. প্রতিটি চিত্রের অবশ্যই ‘নাম’ সঠিকভাবে লিখবে।
৪. প্রতিটি চিত্রের বিভিন্ন অংশের নাম বা নামের লেবেলিং করবে।
জীববিজ্ঞানে ভালো করতে—
১. বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক নাম রয়েছে, তার বানান সঠিকভাবে লিখবে।
২. বৈজ্ঞানিক নাম লেখার সময় সব সময় ইটালিক অক্ষরে লিখবে।
৩. সাল, নাম, তথ্য সঠিক করে লিখতে হবে।
৪. ভুল কোনো তথ্য লিখবে না।
৫. মনে না থাকলে বানিয়ে কোনো তথ্য লিখবে না। এতে পরীক্ষকের মনে তোমার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করবে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য০৪ মে ২০২৫মনে রাখা জরুরি—১. উদ্ভিদের নামের স্বীকৃতির নিয়ম দেওয়ার প্রতিষ্ঠান—ICBN।
২. প্রাণীর নামের স্বীকৃতির নিয়ম দেওয়ার প্রতিষ্ঠান—ICZN।
৩. একটি আদর্শ নিউরনের—৩টি অংশ থাকে।
৪. প্রোফেজ হলো মাইটোসিসের—প্রথম পর্যায়।
৫. এটিপিকে বলা হয়—শক্তি মুদ্রা।
৬. উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন—১৬টি পুষ্টি উপাদান।
৭. আমিষে শতকরা—১৬ শতাংশ নাইট্রোজেন থাকে।
৮. একজন সুস্থ–সবল মানুষের জন্য দিনে—৫০ থেকে ৬০ গ্রাম চর্বির প্রয়োজন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫৯. মানবদেহে সবচেয়ে শক্ত অংশ হলো—দাঁত।
১০. পানি শোষণের একটি হাতিয়ার—ইমবাইবিশন।
১১.অণুচক্রিকার প্রধান কাজ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা আর রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়—বেসোফিল হেপারিন।
১২. সর্বজনীন রক্তদাতা হলো—‘O’।
১৩. রক্ত বহন তন্ত্রের প্রধান অঙ্গ—হৃৎপিণ্ড।
১৪. একটি আদর্শ ফুলের স্তবক থাকে—৫টি।
১৫. মাঠের সবুজ ঘাস হলো—উৎপাদক।
লেখক: মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, প্রভাষক, রূপনগর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ০১ মে ২০২৫আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জনশ ল অ শ র পর প ক পর ক ষ র বর দ দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন সচিবালয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কর্মসূচির পাশাপাশি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, চলবে মঙ্গলবারও
গুম বিষয়ে আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন করবে সরকার: আইন উপদেষ্টা
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কর্মচারীরা সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে যান। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বরাবর স্মারকলিপি দেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর ও মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি আইন বাতিল চাই এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চাই। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তাদের বিদায় করতে হবে।”
তিনি বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। শিগগিরই প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।”
কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “এ অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার বা বাতিল না হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন আগের মতো চলবে।”
কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “আইন উপদেষ্টার নেতৃত্ব গঠিত কমিটি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের সুপারিশ করবেন বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা সেটি মেনে নেব না।”
ঈদের ছুটির পর সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুই উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটির বিরোধিতা করে এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন অবহিত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ