খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: গাড়ি পার্কিংয়ে ডিএমপির নির্দেশনা
Published: 6th, May 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে বিমানবন্দর থেকে নিজ বাসভবনে (গুলশান) আসবেন। এজন্য গুলশান ও বনানী এলাকায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অতিরিক্ত জনসমাগম হয়ে যানজট হতে পারে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সাংবাদিক ও আগত অভ্যর্থনাকারীদের গাড়ি পার্কিং করার জন্য নির্দেশনাবলী পালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এয়ারপোর্টে আগত সাংবাদিকদের যানবাহন এয়ারপোর্টের বহুতল কার পার্কিংয়ে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া এয়ারপোর্টে আগত অভ্যর্থনাকারীগণের যানবাহন ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টিজ এর খালি জায়গায় পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
গুলশানে আগত সাংবাদিকদের যানবাহন গুলশান সোসাইটি পার্কের আশে পাশের সড়কে এক লেনে পার্কিং করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। গুলশানে আগত অভ্যর্থনাকারীদের যানবাহন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কের আশে পাশের সড়কে এক লেনে রাখার অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া উল্লেখিত নির্ধারিত জায়গা ছাড়া মহাসড়ক বা অন্য কোন জায়গায় গাড়ি পার্কিং না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করার পাশাপাশি গমনাগমন রুটে কোন যানবাহন পার্কিং না করার জন্যও বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। মুভমেন্ট চলাকালীন গাড়ি বহরে অননুমোদিত গাড়ি যুক্ত না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।
এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।
এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা