ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে দুই শিশুসহ নিহত ৮
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে অন্তত দুই শিশুসহ আটজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির
তিনি বলেন, বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় দুই পাকিস্তানি নিখোঁজ রয়েছেন।
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সশস ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আফগান সীমান্তে ৩০ ‘খারিজি সন্ত্রাসীকে’ হত্যার দাবি পাকিস্তানের
পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আফগান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় দুই রাতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ জন ‘খারিজি সন্ত্রাসীকে’ হত্যার দাবি করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় মদদপুষ্ট ফিতনা আল-খারিজি গোষ্ঠীর সদস্যরা মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই) রাতের মধ্যে হোসেন খেল এলাকায় সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করেছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের গতিবিধি শনাক্ত করে তৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে এবং সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁরা সাধারণ নাগরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন।
আইএসপিআর আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে দেশটির ভূখণ্ডকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য বিদেশি মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করতে না পারে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী জাতীয় সীমান্ত রক্ষায় অটল এবং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪