রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত সমাবেশে স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করায় সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে প্রচারণা চলছে তা বিভ্রান্তিকর বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় সংস্থাটি গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, যেহেতু ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে হিট ওয়েভ চলছে সেহেতু যেখানেই অতিরিক্ত মানুষের সমাগম ঘটছে সেখানেই ওয়াটার স্প্রের ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। গরমের তীব্রতা কমাতে শুধু সমাবেশস্থল নয় বিভিন্ন বাজার এলাকা এবং টার্মিনাল এলাকাতেও এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

আইভী কারাগারে

ডিএনসিসি প্রশাসক
বাতাসের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্র স্থাপন করা হবে

সম্প্রতি যখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন তখন অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপর এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করে পানি ছিটানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি জানান, ফ্রি প্যালেস্টাইন নিয়ে যে সমাবেশগুলো হয়েছে তখনও এই ভেহিকেলটি ব‍্যবহার হয়েছে।

মূলত হিট ওয়েভ থাকা অবস্থায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই ভেহিকেলটি ব‍্যবহার হয়, ওই জমায়েত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক তা সিটি করপোরেশনের জন‍্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, বলেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স ড এনস স যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ