বিদেশে চিকিৎসা খরচে সুবিধা বাড়ল, পাঠানো যাবে ১৫ হাজার ডলার
Published: 12th, May 2025 GMT
নানা ধরনের ভিসা জটিলতা হওয়ায় উন্নত চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের অনেকেই এখন ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে ছুটছেন। ভারত ছাড়া অন্য যেসব দেশে চিকিৎসার জন্য যেতে আগ্রহী, সেই দেশগুলোর মধ্যে আছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি। ওই সব দেশে চিকিৎসা খরচ কিছুটা বেশি। এ জন্য তাদের বেশি ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিদেশে চিকিৎসা খরচ পাঠানোর সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দিয়েছে যে এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ পাঠানো যাবে। কারও চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও বেশি ডলারের পাঠাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। এই অনুমতি নেবে যে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হবে, সেই ব্যাংককে অনুমতি নিতে হবে। আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া ব্যাংকগুলো ১০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠাতে পারত। এই সীমা আরও পাঁচ হাজার ডলার বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাসপাতালের নামে কিংবা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে ১৫ হাজার ডলার বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে। এই সীমার মধ্যে গ্রাহকেরা চাইলে ৫ হাজার ডলার নগদ ছাড় করতে পারবে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ভারতে ভিসা পেতে সমস্যা হওয়ায় মানুষ অন্য দেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। এসব দেশে চিকিৎসা ব্যয় কিছুটা বেশি হওয়ায় অনেক গ্রাহক বৈধপথে অর্থ নিতে সমস্যায় পড়ছেন। এ জন্য ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলোকে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈধপথে চিকিৎসা খরচ নেওয়ার ব্যবস্থা সহজ হলে মানুষ হুন্ডিতে ঝুঁকবে না। আর হুন্ডি বাড়লে প্রবাসী আয় কমে যাবে। এ জন্য চিকিৎসা ব্যয় বিদেশে নেওয়া সহজ করা হয়েছে।
এ দিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে বিদেশে খরচ পাঠানোর জন্য বিধিবিধান সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক কার্ড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের ব্যাংকগুলো সদস্যপদ ফি, তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত ব্যয়, বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়, ভিসা ফি, বিদেশে প্রশিক্ষণের নিবন্ধন ফি, চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয় ইত্যাদি খরচ পাঠাতে পারবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খরচ প ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে রিট খারিজের রায় স্থগিত
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা খারিজ করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা স্থগিত হয়েছে।
হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৭ মে আদেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের ৭ মে দেওয়া আদেশের অনুলিপি সোমবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী।
এর আগে ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা খারিজ করে রায় (রুল ডিসচার্জ) দেন। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে ঘোষিত রায়ে আদালত বলেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে শাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ৭ মে ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ওই আদেশ দেন।
এ আদেশের অনুলিপি সোমবার হাতে পাওয়ার কথা জানান রিট আবেদনকারীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জামিলুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এই সময়ে প্রশাসক কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।’
এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলমের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে রুল দেন।
২০০৪ সালের পরিশোধ ও নিষ্পত্তাব্যবস্থা আইনের ৩১(১) ও (২) ধারা প্রতিপালন না করে ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগের গত ২১ আগস্টের মেমো (আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রশাসকের নীতিগত কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট প্রশাসকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় পক্ষগুলোকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।