কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় একটি দেশি বন্দুক, দুটি গুলিসহ আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মনির উদ্দিন (৩৮)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের আলেকদিয়া কাটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনির উদ্দিন পেশায় কৃষক। তিনি শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বাড়ির পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পেকুয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র রয়েছে এমন খবরে আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দিনের ওপর নজর রেখে আসছিল পুলিশ। এরই সূত্র ধরে গতকাল রাতে মনিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে একটি বন্দুক ও দুটি গুলি উদ্ধার হয়েছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন দ ক আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাস্তার গর্ত ভরাটের নাম করে অবৈধ বালু ব্যবসা

কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু রাস্তার পাশে ফেলে গর্ত ভরাটের নাম করে এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি চক্র। খারনৈ ইউনিয়নের গজারমারি এলাকার ভেলুয়াতলিতে এই ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে এলাকাবাসীর সামনে রাস্তার গর্ত ভরাটের অজুহাতে পাহাড়ি নদী ডেনকি থেকে উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেই বালু লুকিয়ে রাখা এবং পরে তা বিক্রি করা। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আরও অন্তত চারজন জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাসরি ভেকু দিয়ে বালু তুলে ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একজন বলেন, প্রথমে বলেছিল রাস্তার গর্ত ভরাট করবে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই বালুই বিক্রি করছে ট্রলিতে করে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
বালু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদেক মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমাদের নিজ নামে জমি রয়েছে। অনেক আগেই আমরা সেই গর্তে ডেনকি নদীর বালু ফেলেছিলাম। এখন এলাকার উন্নয়নের কাজে সেই বালু নেওয়া হচ্ছে।’
তবে সাদেক মিয়ার দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্য, এটি অবৈধ বালু ব্যবসার একটি কৌশল। তারা দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ