সৌদি আরবে বিশ্বের প্রথম এআই ক্লিনিক চালু
Published: 18th, May 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) নানা চমক গত কয়েক বছরে পৃথিবীজুড়ে দেখা যাচ্ছে। ডা. হুয়া নামে একজন এআই চিকিৎসক এবার রীতিমতো ক্লিনিকে রোগী দেখবে বলে জানা গেছে। সৌদি আরবে এআই চিকিৎসক আছে এমন একটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। সৌদি আরব বিশ্বের প্রথম এআই ক্লিনিক চালু করছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রোগীদের রোগ নির্ণয় করা হবে। সিনি এআই নামে একটি চীনভিত্তিক চিকিৎসা প্রযুক্তি সংস্থা আলমুসা হেলথ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই ক্লিনিক চালু করেছে। গত মাসে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল-আহসা প্রদেশে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করেছে এআই ক্লিনিক।
এআই ক্লিনিকের লক্ষ্য রোগীদের রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য প্রথম যোগাযোগের জন্য মানব চিকিৎসকদের বদলে এআই চিকিৎসক ব্যবহার করা। এআই এখানে অনেক কাজ করলেও মানবচিকিৎসক পর্যবেক্ষক হিসেবে পুরো সিস্টেমে নজর রাখছেন। সিনি এআই জানিয়েছে, এআই ক্লিনিক একটি উদ্ভাবনী চিকিৎসা সেবাব্যবস্থা। এখানে এআই ডাক্তাররা স্বাধীনভাবে রোগের সন্ধান থেকে শুরু করে প্রেসক্রিপশন পর্যন্ত দিতে পারে। এআই যে পরামর্শ দিচ্ছে, মানব ডাক্তাররা তা পর্যালোচনা করেন।
রোগীরা ক্লিনিকে আসার পর একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহার করে ডা.
বর্তমানে এআই ডাক্তার শুধু শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছে। হাঁপানি ও ফ্যারিঞ্জাইটিসের মতো প্রায় ৩০টি রোগের চিকিৎসা করতে পারে এআই ডাক্তার। সিনি এআই ভবিষ্যতে আরও নতুন ৫০টি শ্বাসযন্ত্র, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিক্যাল ও চর্মরোগ–সংক্রান্ত রোগকে চিকিৎসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এআই ডাক্তারের ডেটাবেস প্রসারিত করার লক্ষ্যে এখন কাজ করছে বলে জানা গেছে। পাইলট প্রোগ্রামের ডায়াগনস্টিক ডেটা ১৮ মাসের মধ্যে অনুমোদনের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে। সিনি এআই জানিয়েছে, চলমান পরীক্ষার আগে প্রযুক্তিটির ত্রুটির হার ০.৩ শতাংশ ছিল।
সিনি এআইয়ের সিইও ঝাং শাওডিয়ান বলেন, ‘অতীতে এআই যা করেছে, তা শুধু ডাক্তারদের সহায়তা করার কাজ। এখন আমরা এআইকে সরাসরি রোগীদের রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা করার সুযোগ দিতে কাজ করছি।’
টেনসেন্ট, হংশান ক্যাপিটাল, জিজিভি ক্যাপিটাল ও চীনের সরকার এআই চিকিৎসকের বিকাশে অর্থায়ন করছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এআই ড ক ত র এআই ক ল ন ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালিতে বাইরে কাজ নিষিদ্ধ, ফ্রান্সে স্কুল বন্ধ
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ। ইতালি কিছু অঞ্চলে উষ্ণতম সময়ে বাইরের কাজ নিষিদ্ধ করেছে, ফ্রান্স স্কুল এবং আইফেল টাওয়ারের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং স্পেন জুনকে উষ্ণতম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সোমবার ইতালীয় শহর বোলোনা-এর কাছে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছে। বার্সেলোনায় কর্তৃপক্ষ সপ্তাহান্তে একজন সড়ক ঝাড়ুদারের মৃত্যুও তাপ-সম্পর্কিত কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
তুরস্ক দাবানলের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার ইজমির শহর, মানিসা প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্বে হাতায়ের আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা অনুসারে, ইউরোপ বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী মহাদেশ, যা বিশ্বব্যাপী গড়ের দ্বিগুণ হারে উত্তপ্ত হচ্ছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস বলেন,“যেটা ব্যতিক্রমী ... কিন্তু অভূতপূর্ব নয় তা হল বছরের সময়। এখন চরম তাপের পর্ব দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণত আমরা গ্রীষ্মের পরে দেখতে পাই।”
ভূমধ্যসাগরের উচ্চ তাপমাত্রা স্থলভাগে চরম তাপমাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তোলে বলে জানান তিনি।
ভূমধ্যসাগরীয় স্পেনে তাপমাত্রা রেকর্ড ৩০ সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা মৌসুমী গড়ের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী মেটিও ফ্রান্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফ্রান্সে তাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সারা দেশের প্রায় ১ হাজার ৯০০ স্কুল বন্ধ ছিল।
ঢাকা/শাহেদ