জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অন-ক্যাম্পাস মাস্টার্স ফাইনাল প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রমে অনলাইন প্রাথমিক আবেদনের সময় ২১ জুন ২০২৫ দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দরকারি তথ্য-
১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
২.

প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ পাঁচ শত টাকা সোনালী সেবা অথবা নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৫ জুন ২০২৫–এর মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক আবেদন ও ভর্তির সংশোধিত সময়সূচি-
১. অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের শেষ তারিখ: ২১/০৬/২০২৫।
২. সোনালী সেবার টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২৫/০৬/২০২৫।
[ আবেদনকারী প্রতি ৫০০ টাকা হারে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। পে-স্লিপে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সংশ্লিষ্ট খাতের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ০২১৮১১০০০০২৭০১ উল্লেখ করে টাকার অঙ্ক লেখা থাকবে।]

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা১৭ মে ২০২৫

৩. লিখিত পরীক্ষার তারিখ: ৩০/০৬/২০২৫, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
[ ভর্তি পরীক্ষার স্থান: একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস।]
৪. লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: ০৩/০৭/২০২৫।
৫. মৌখিক পরীক্ষার তারিখ: ০৯/০৭/২০২৫ থেকে ১৫/০৭/২০২৫, সময়: সকাল ১০.৩০টা।
[মৌখিক পরীক্ষার স্থান: একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস।]
৭. মেধাতালিকা প্রকাশ: ২১/০৭/২০২৫।
৮. পে-স্লিপ ডাউনলোড ও ভর্তির তারিখ: ২৩/০৭/২০২৫ থেকে ০৪/০৮/২০২৫।
৯. ক্লাস শুরুর তারিখ: ১০/০৮/২০২৫।
[ক্লাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।]
*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের চ্যাটজিপিটি ব্যবহার, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ফেরত চাইলেন টিউশন ফি১৮ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

সন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি

সত্যিকারের সফলতা বলতে কী বোঝায়? বৈষয়িক সম্পদ, প্রাচুর্য, নাকি দৃঢ় ইমান ও আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক? আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা, যাঁরা তোমাদের চেয়ে ওপরে আছেন, তাঁদের দিকে তাকিয়ো না; বরং যাঁরা তোমাদের চেয়ে নিচে আছেন, তাঁদের দিকে তাকাও। কারণ, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি প্রদত্ত নেয়ামতকে তুচ্ছ মনে করা থেকে তোমাদের বিরত রাখবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৯০; মুসলিম, হাদিস: ২,৯৬৯)

এই হাদিস আমাদের শেখায় কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে জীবন যাপন করতে। কিন্তু আমরা কি আমাদের সন্তানদের এই দৃষ্টিভঙ্গি শেখাচ্ছি? নাকি আমরা তাদের শিখিয়ে দিচ্ছি যে দুনিয়ার সাফল্য উচ্চ গ্রেড, সম্পদ, ক্যারিয়ার—ধর্মের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

এক রিকশাচালকের গল্প

ফেসবুকে একটি গল্প ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে এক রিকশাচালক তাঁর জীবনের কথা বর্ণনা করেছেন। বৈষয়িক দৃষ্টিকোণে তাঁর জীবন সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণে এটি একজন মায়ের অসাধারণ সাফল্যের গল্প, যিনি তাঁর সন্তানের মধ্যে দৃঢ় ইমান গড়ে তুলেছেন। গল্পটি এমন—

‘ছোটবেলায় আমার মা প্রায়ই আমাকে প্রতিবেশীদের কাছে নুন, লঙ্কা বা পেঁয়াজ ধার চাইতে পাঠাতেন। আমাদের মতোই গরিব প্রতিবেশীরা অসন্তুষ্ট মনে আমাদের দিতেন, জানতেন আমরা তা ফেরত দিতে পারব না। ধার ছাড়া আমাদের রান্না করা প্রায় অসম্ভব ছিল। তবুও আমরা একটি কাজ কখনো বন্ধ করিনি—নামাজ।

‘আমার বাবা ছোটবেলায় মারা যান। মা ও বোনদের সাহায্য করতে আমি ৯ বছর বয়সে কাজ শুরু করি, দিনে ১৫ টাকা আয় করে। আমি তাড়াতাড়ি বড় হতে চাইতাম, বেশি উপার্জন করে পরিবারকে সাহায্য করতে। কিন্তু আমি কখনো সকালের নামাজ বন্ধ করিনি। এখন রিকশা চালিয়ে আমি আমার বোনদের স্কুলে পড়ার খরচ পাঠাই, যা আমি কখনো করতে পারিনি।

আরও পড়ুনইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘আমার মা এখন বৃদ্ধ ও অসুস্থ। আমি দিনভর রিকশা চালিয়ে তাঁকে প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাই, যাতে তিনি ওষুধ ও খাবার কিনতে পারেন। কাজের মধ্যেও আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় বের করি। প্রতিবার রুকু–সিজদায় আমি মায়ের জন্য দোয়া করি। তিনি আমার জীবনের সবকিছু, আমার মাথার ওপর ছাতার মতো। তাঁর ও আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়া আমি কিছুই নই।

‘আমি দোয়া করি মায়ের স্বাস্থ্য ভালো হোক, তিনি আমার আগে মারা না যান। সম্প্রতি আমি তাঁকে একটি সবুজ শাড়ি কিনে দিয়েছি, কারণ তিনি সবুজ শাড়ি পছন্দ করেন। তাঁকে এত খুশি দেখে আমার হৃদয় ভরে যায়। আমি প্রতিদিন কাজ করব এবং মায়ের জন্য দোয়া করব।’

এই যুবক বৈষয়িক সাফল্য অর্জন করেননি, কিন্তু তিনি সেখানে সফল হয়েছেন যেখানে অনেক অভিভাবক ব্যর্থ হন। তাঁর মা তাঁকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও নামাজের প্রতি অটলতা শিখিয়েছেন।

অভিভাবকদের অগ্রাধিকার

এই গল্প আমাদের প্রশ্ন করে, আমরা আমাদের সন্তানদের কী শেখাচ্ছি? আমাদের লক্ষ্য কি তাদের ধর্মীয় দায়িত্ববোধের প্রতি ভালোবাসা জাগানো, নাকি শিক্ষা ও ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেওয়া? আমরা অনেকে প্রথমে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে শুরু করি, কিন্তু সন্তানেরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অগ্রাধিকার বদলে যায়। পড়াশোনা, অন্যান্য চর্চা ও সামাজিক চাপ ধর্মীয় শিক্ষাকে পেছনে ঠেলে দেয়।

ছোটবেলায় সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলে গিয়ে সন্তানেরা গেম, মিডিয়া ও বন্ধুদের প্রভাবে বদলে যায়। হাইস্কুলে পড়ার চাপ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ক্যারিয়ারের দৌড় শুরু হয়। অজান্তেই আমরা দুনিয়ার ইঁদুর দৌড়ে জড়িয়ে পড়ি। আমরা অবিশ্বাসীদের মতো অভাবের দৃষ্টিকোণ থেকে জীবন দেখতে শুরু করি। ফলে আমরা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে সরে যাই।

আরও পড়ুননামাজ: দাসের মহিমা০৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষায় ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা

জীবন পরীক্ষার ময়দান। ওই মায়ের জীবন ছিল দারিদ্র্যের কঠিন পরীক্ষা। তাঁর বাড়িতে কখনো কখনো নুনের ছিটার অভাব হতো। তিনি সন্তানদের ভিক্ষা করতে পাঠাতে পারতেন বা অনৈতিক পথ বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি লড়াই করেছেন। তিনি ধৈর্য ধরেছেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল সন্তানদের মধ্যে ইমানের বীজ বপন করা। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কখনো অস্পষ্ট হয়নি।

অনেকে প্রাচুর্যের পরীক্ষায় পড়েন। আমাদের ফ্রিজে সপ্তাহভর খাবার, প্যান্ট্রিতে মাসভর চাল–ডাল থাকে। কিন্তু আমরা যখন অভাবের মানসিকতায় জীবন দেখি, তখন দৃষ্টিভঙ্গি ঝাপসা হয়ে যায়। আমরা দামি জিনিস, উচ্চ পদ বা সামাজিক মর্যাদার পেছনে ছুটি; ওদিকে পরকালের ক্ষতি হয়ে যায়। ফলে আমাদের সন্তানদের জন্য ইসলাম কেবল একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়ায়—জীবনযাপনের একমাত্র পথ নয়।

কৃতজ্ঞতার শক্তি

প্রথমে বর্ণিত হাদিস আমাদের কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির শিক্ষা দেয়। আমাদের শিখতে হবে যে আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা কর্তব্য। এই গল্প আমাদের সন্তানদের কৃতজ্ঞতার পাঠ শেখানোর সুযোগ দেয়। যখন তারা বাজারের ব্যাগ আনবে, তাদের স্মরণ করিয়ে দিন, তারা যেন খাবার, বাড়ি ও পরিবারের জন্য কৃতজ্ঞ থাকে। নিয়মিত দোয়া করুন, ছোটবেলা থেকে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে তারা বড় হয়ে সততায় অটল থাকে।

অভিভাবকদের দায়িত্ব

আমাদের জীবনের অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। আমরা কোথায় যাচ্ছি, এই দুনিয়ায় কী চাই, তা পরিষ্কার হওয়া উচিত। এই মূল্যবোধ আমাদের সন্তানদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে হবে, যাতে ধর্ম তাদের জীবনে কখনো দুর্বল না হয়। অভিভাবক হিসেবে এই দায়িত্ব আমাদের। প্রতিদিন একটি নতুন সুযোগ—পথভ্রষ্ট হলে সংশোধনের, আল্লাহর কাছে পথনির্দেশনা চাওয়ার।

সূত্র: মুসলিম ম্যাটার্স

আরও পড়ুনফজর নামাজ শয়তানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের বিজয়১৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয় শাকিলের
  • কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে এভারেস্ট জয় শাকিলের
  • বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রদর্শনী
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে
  • বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডে এমডি পদে পুনঃনিয়োগে বিজ্ঞপ্তি
  • হজের সময় চলাচলের পথে ঘুমাবেন না: হজযাত্রীদের প্রতি সৌদি সরকারের পরামর্শ
  • সন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতকে দ্বৈত ভর্তি, বাতিলের জরুরি নোটিশ
  • ভালোবাসার ভিলায় কাঁদলেন মার্তিনেজ, গন্তব্য অজানা