দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী হালিমা সুলতানা জিনিয়া ও তিন সন্তানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এছাড়াও সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো.

আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত তিন সন্তান হলেন- সাদ আল জাবির আব্দুল্লাহ, লাবিবা আব্দুল্লাহ, মোসাম্মৎ হাবিবুন নাহার। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজিদুর রোমান দুটি আবেদনে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার নিষেধাজ্ঞার পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করেন। 

আবু ইউসুফের নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎপূর্বক মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি তদন্তের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন দুর্নীতির রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য অভিযোগের সুস্থ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

মোহাম্মদ আলীর নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। উক্ত নথির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন দুর্নীতির রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ৩টি কারখানাসহ ৩ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কারখানা সহ তিন শতাধিক অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। দুইটি কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। 

জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধিন জালকুঁড়ি, তালতলা ও আমতলা এলাকার তিনটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়। 

পরে কারখানাগুলোর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ, রাইজার ও বার্ণার। একই সাথে অবৈধ সংযোগ স্থলগুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দেয় তিতাস কতৃপক্ষ। 

পরে এক কিলোমিটার বিস্তৃত অর্ধ শতাধিক বাসা বাড়ির তিন শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাসের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়ন 

জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযানকালে তিতাসের আবাসিক লাইনের সংযোগস্থল থেকে দুইটি ওয়াশিং কারখানা ও একটি মেটাল ফার্ণিচার কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগের প্রমান পাওয়া যায়।

ফলে তিনটি কারখানারই অবৈধ সংযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করি। এর মধ্যে জিসান ওয়াশিং লন্ড্রি নামে একটি ওয়াশিং কারখানা এবং শাহ জালাল ফার্নিচার নামে একটি মেটাল খানাটুলি কারখানা থেকে এক লক্ষ টাকা করে মোট দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তবে বিসমিল্লাহ মেটাল নামে আরেকটি কারখানায় মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় জরিমানা করা সম্ভব হয় নি। 

আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের নারায়ণগঞ্জ জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো. ইমরান ও ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মশিউর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ