আইপিএলে বারবার আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের লেগস্পিনার দিগ্বেশ রাঠি। এবার সেই বিতর্কে আরও বড় শাস্তি পেলেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে অনভিপ্রেত আচরণের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন এই স্পিনার। একই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা।

লখনৌর হোম ভেন্যুতে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে রান তাড়ার সময় অষ্টম ওভারে ঘটে এই বিতর্কিত ঘটনা। ব্যাটার অভিষেক শর্মাকে আউট করে হাত নাড়িয়ে তাকে দ্রুত মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন দিগ্বেশ। এরপর ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ও করেন। হায়দরাবাদের ব্যাটার এরপর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। তিনি দিগ্বেশের দিকে এগিয়ে আসেন। হেলমেট খুলে কিছু বলেন লখনৌয়ের স্পিনারকে। পাল্টা কথা বলেন দিগ্বেশও। দুইজনের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে হস্তক্ষেপ করতে হয় আম্পায়ার মাইকেল গফকে।

এই ঘটনায় দিগ্বেশের ঝুলিতে যোগ হয়েছে আরও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট, যার ফলে তার মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়াল পাঁচে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, চার বা ততোধিক ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে লখনৌর ম্যাচে খেলতে পারবেন না রাঠি।

এই মৌসুমে দিগ্বেশ এর আগেও মাত্রা ছাড়ানো উদযাপনের কারণে একাধিকবার সতর্ক হয়েছেন এবং ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। এবার নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পাওয়ায় আগামী দিনে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে তাকে। কারণ আইপিএলের কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ডিমেরিট পয়েন্ট সংরক্ষিত থাকে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ভবিষ্যত মৌসুমেও এসব পয়েন্ট তার বিপক্ষে যেতে পারে।

আইপিএলের শৃঙ্খলা নীতিমতে, ৮ ডিমেরিট পয়েন্টে দুই ম্যাচ এবং ১১ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী। 

আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’ 

বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।

গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’  

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে
  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার