ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত এবং উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’।

আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিকেল চারটায় শেষ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা ‘এক দুই তিন চার, প্রক্টর তুই গদি ছাড়’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাম্যর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘সাইফুদ্দিনের কত গুণ, ৯ মাসে ২ খুন’, ‘৮ দিন হয়ে গেল, খুনি অধরা রয়ে গেল’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে, ভিসি-প্রক্টর কী করে?’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

পরে সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবিদুর রহমান বলেন, ‘এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে। আমার ভাই হত্যার পর দেখি এই প্রক্টর রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এই প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো মামলা করার উদ্যোগ দেখতে পাইনি।’

আবিদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘যে রিপোর্ট তিন দিনে আসার কথা, কিন্তু আজকে আট দিন হয়ে যাওয়ার পরও তার কোনো সুরাহা দেখতে পাইনি।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী নিযুক্ত এই ভিসি-প্রক্টরকে মনে করতাম শিক্ষার্থীদের ভরসার জায়গা। কিন্তু তাঁরা আমাদের আশাহত করেছেন।’

জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই প্রক্টরের আমলে ফ্যাসিস্টের ছবি মুছে ফেলা হয়, পিটিয়ে তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়, পয়লা বৈশাখে ফ্যাসিস্টের মোটিফ পুড়িয়ে ফেলা হয়, ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে কিন্তু তিনি তার কোনো বিচার করতে পারেন না।

অবিলম্বে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন জাহিদুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীনগরে ৬ মাসের যমজ শিশু হত্যা, বাবা-মা থানায়

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী গ্রামে ছয় মাস বয়সী যমজ কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই শিশুর নাম লামিয়া ও সামিহা। তারা স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহাগ (২৮) ও শান্তা (২৪) দম্পতির কন্যা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিশুদ্বয়ের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী সে বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

শিশুদের বাবা সোহাগের অভিযোগ, তাদের মা শান্তা সন্তানদের পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। অপরদিকে মা শান্তা দাবি করেছেন, বাবা সোহাগই তাদের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন। 

খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু দুইটির মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুদের বাবা ও মাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানানো যাবে।

ঢাকা/রতন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ