মোংলা বন্দরে নাবিকদের হাত-পা বেঁধে বাণিজ্যিক জাহাজের মালামাল লুট
Published: 26th, May 2025 GMT
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে অবস্থান করা বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি সেঁজুতি’ নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে নাবিকদের হাত-পা বেঁধে টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ডাকাত দল। এ সময় তিন নাবিক আহত হয়েছেন। সোমবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পিএনএন শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন এমভি সেঁজুতি বাণিজ্যিক জাহাজটি ভারত থেকে পাথরবোঝাই করে গত বছরের ২২ জুন মোংলা সমুদ্র বন্দরের আসে। এরপর পাথর খালাস শেষ হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় এক বছর ধরে এটি বন্দর চ্যানেলের (পশুর নদী) বেসক্রিক এলাকায় রয়েছে। জাহাজে চিফ অফিসারসহ সাত ক্রু ও স্টাফ রয়েছে।
জাহাজের চিফ অফিসার মো.
জাহাজটির লোকাল শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনার ম্যানেজার শরিফ জাহাদুল করিম অমিত জানান, মোংলা বন্দরে চ্যানেলে থাকা এ জাহাজটিতে এর আগে দু’দফায় ডাকাতরা হানা দিয় ও লুটপাট চালায়। সে সময়ে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এরপর সর্বশেষ সোমবার ভোররাতে জাহাজের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতরা। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত দলকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
বন্দর চ্যানেলে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মাকরুজ্জামন মুন্সী জানান, ঘটনাটি তারা শুনে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’