রাবির ২ ইউনিটে ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম প্রক্রিয়া শুরু
Published: 26th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিভাগ পছন্দক্রম পূরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সোমাবার (২৬ মে) থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পছন্দক্রম পূরণ করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইউনিট দুইটির নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এ’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার অংশ হিসেবে ইংরেজি বিভাগের লিখিত পরীক্ষা এবং সংগীত বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ ও চারুকলা অনুষদের ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীসহ গত ১৯ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিভাগ পছন্দক্রম ফর্ম আগামী ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অনলাইনে বাধ্যতামূলকভাবে পূরণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কোনো উত্তীর্ণ প্রার্থী এই ফর্ম পূরণ না করলে ‘এ’ ইউনিটে তার ভর্তির সুযোগ থাকবে না। বিভাগ পছন্দ প্রদানের পর তদানুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে সেই বিভাগে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে। নতুবা ‘এ’ ইউনিটে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং পরে ‘এ’ ইউনিটের কোনো বিভাগে ভর্তির আর সুযোগ থাকবে না।
আগামী ২ জুন ২০২৫ তারিখে বিভাগগুলোর নির্ধারিত আসনসংখ্যা অনুযায়ী ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মেধা তালিকাভুক্ত পরীক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও ভর্তি কার্যক্রম ১৬ জুন থেকে শুরু হবে।
অন্যদিকে, ‘সি’ ইউনিটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফলাফল ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুদের আগামী ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অনলাইনে পছন্দক্রম ফর্ম পূরণ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে পছন্দক্রম পূরণ না করলে ‘সি’ ইউনিটের কোনো বিভাগেই সে আর বিবেচিত হবে না। তবে ‘সি’ ইউনিটে পছন্দক্রম পূরণের সময় সব বিভাগ পছন্দক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক নয়।
পছন্দক্রম গ্রহণের পর নির্বাচন তালিকা প্রকাশ ও ভর্তির সম্ভাব্য সময়সূচি দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, প্রথম নির্বাচন তালিকা ৪ জুন বিকেলে ও দ্বিতীয় নির্বাচন তালিকা ২১ জুন বিকেলে এবং প্রথম ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ ১৬-১৮ জুন ও দ্বিতীয় ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ ২৩-২৪ জুন বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল ব ভ গ পছন দ পর ক ষ র ভর ত র স ইউন ট র প রক শ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ