জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক মো. সারজিস আলম বলেছেন, “কোন একটা (প্রতীক) দেখে অন্ধভাবে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ যদি ভালো কাজ করেন, ভালো মানুষ হন, তিনি যদি আমার দলের নাও হন আপনি তাকে ভোট দিন।”

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “ভালো মানুষের হাতে যদি ক্ষমতা থাকে, সেই ক্ষমতা জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হবে। যদি খারাপ মানুষের হাতে আপনি ক্ষমতা তুলে দেন সেই ক্ষমতা আপনাকে শোষণ করার জন ব্যবহার করা হবে। সেই ক্ষমতা এলাকায় এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহার হবে।”

আরো পড়ুন:

নীলফামারীতে সারজিস
সরকার যেন বিচারের দায়িত্ব অন্যের হাতে দিয়ে সরে যাওয়ার ভুল না করে

উপদেষ্টা মাহফুজের সঙ্গে যা হয়েছে, এর জন্য আপনাদের প্রতি ধিক্কার: সারজিস

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক ড.

আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন, ছাত্র প্রতিনিধি মাহির মোহাম্মদ মিলন এবং মোহাম্মদ শরীফ হোসেন।

সারজিস আলম দিনাজপুরের আরো ৫টি উপজেলা হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুরে পথসভা করবেন বলে জানিয়েছেন। 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য গ ম ম খ য স গঠক ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ