বন্দরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, মা-বাবাকে মারধরের অভিযোগ
Published: 27th, May 2025 GMT
বন্দরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক স্কুলছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদ করার জের ধরে মা-বাবা ও চাচাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (২৬ মে) বিকালে বন্দর উপজেলার পূর্ব কেওঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রী মা বাদী হয়ে কফিলউদ্দিন ভূঁইয়া (৬৫) সহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা সেফালী বেগম জানান, গত সোমবার বিকালে আমার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে নয়ন (১৫) নামে এক বখাটে জোর পূর্বক ভাবে রাস্তা থেকে মাধ্যমে তুলে নিয়ে একই এলাকার কফিল উদ্দিনের কাছে নিয়ে যায়।
পরে তার ঘরে নিয়ে আমার মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানীসহ ধর্ষণের চেষ্টার করে। ওই সময় আমার মেয়ের চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আমার স্বামী ও দেবরকে সঙ্গে নিয়ে কফিলউদ্দিন ভূঁইয়ার বাড়িতে যাই।
যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত কফিল উদ্দিনসহ তার ২ সহযোগী আমাদের মারধর করে এবং আমার জামাকাপড় ছেড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, নাগিনা জোহা স্কুলের এক ছাত্রীর ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক