ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (ডাকসু) রোডম্যাপ, ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের মৌলিক তিনটি দাবি হচ্ছে- অবিলম্বে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া; ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ক্যাম্পাসে পূর্বের ন্যায় যান চলাচল ও বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করা; অবিলম্বে সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিতকরণে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

আরো পড়ুন:

রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এনসিপি জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে: শরিফ ওসমান

অন্য চারটি দাবি হলো- ক্যাম্পাস এলাকায় ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা; পুরো ক্যাম্পাস এলাকা ও ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা; ক্যাম্পাসের পাঁচটি প্রবেশপথে যে সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভেলেন্স বক্স রয়েছে, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করা; প্রয়োজন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্য সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়মিত টহল পরিচালনা করা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আশিক, দাওয়াহ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল হোসেন মারুফ প্রমুখ।

ঢাবি শিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে মতামত জানিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এ দাবি পূরণের পথে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ধীরগতিতে অগ্রসর হয়েছে।”

তিনি বলেন, “গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রক্টর বলেছিলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।’ মে মাস শেষের দিকে, কিন্তু আশা জাগানোর মতো কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি। অনতিবিলম্বে ডাকসুর সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে, শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।”

নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সম্প্রতি ক্যাম্পাসে সংগঠিত বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা শিক্ষার্থীদের আরো উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা কার্যত ভয় ও শংকার সঙ্গে ক্যাম্পাসে দিনাতিপাত করছে, যা তাদের মানসিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর। আমরা চাই, ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ