ডাম ক্লাব২৫ এর উদ্যেগে ‘প্রজন্মান্তরের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আগামীর পথচলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

ডাম ক্লাব২৫ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তথা মিশন পরিবারে যারা ২৫ বছর থেকে সেবা প্রদান করেছেন বা করছেন, তাদের নিয়ে গঠিত প্লাটফর্ম।

ডাম ক্লাব২৫ এর সভাপতি মো.

আনছার আলী ফকিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য নিলুফার ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সহ-সভাপতি ডা. খলিলউল্লাহ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য মতিউর রসুল।

এ সময় সারসংক্ষেপ ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন ডাম ক্লাব২৫ এর উপদেষ্টা ড. এম এহছানুর রহমান। স্মৃতিচারণ করেন ডাম ক্লাব২৫ সদস্য ইকবাল মাসুদ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ওয়াশ সেক্টরের সাবেক প্রধান উম্মে ফারওয়া ডেইজি, সিনেডের সাবেক সিইও এবং প্রশিক্ষণ ও উপকরণ উন্নয়ন বিভাগের সাবেক পরিচাল শাহনেওয়াজ খান। 

পরিচিতি পর্ব পরিচালনা করেন ডাম ক্লাব২৫-এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান। মিশন প্রতিষ্ঠার বাণী পাঠ করেন ডাম ক্লাব২৫ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য দেন ডাম ক্লাব২৫ সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, যখন আমরা পেছনে ফিরে তাকাই, তখন অনুভব করি—ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সঙ্গে এই পথচলা শুধু চাকরি ছিল না, ছিল এক মানবিক যাত্রা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ, মানুষের সেবা আর নৈতিকতায় বিশ্বাস- আমাদের শুধু একজন পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলেনি, বরং মানুষ হিসেবে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘বারবার ভেবেছি শেষ চেষ্টা করে যাই’

কেউ ডাকেন সুপারস্টার, কেউ মেগাস্টার, কেউবা আবার বাংলা সিনেমার রাজকুমার। ভালোবাসার এসব উপাধি নিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একচেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছেন শাকিব খান। আজ বাংলা সিনেমায় ২৬ বছর পার করলেন তিনি।

পরিচালক আফতাব খান টুলুর হাত ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ছবিটি সেই সময় খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সেই সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে ‘গোলাম’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একে একে ‘দু’জন দু’জনার’, ‘বিষে ভরা নাগিন’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মায়ের জেহাদ’, ‘রাঙ্গা মাস্তান’, ‘হিংসার পতন’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’র মতো জনপ্রিয় সিনেমা জমা পড়ে তাঁর ঝুলিতে। তবে এর মাঝে দেখেছেন ব্যর্থতার রূপও। তবু থেমে থাকেনি তার পথচলা।

বিশেষ এই দিনে শাকিবের টিমের পক্ষ থেকে ফেসবুকে আবেগী বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে; “বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ১৯৯৯ সালের ২৮মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’-এর মাধ্যমে উত্থান হয়েছিল এক নতুন তারকার। যিনি নিজের প্রতিভা, অধ্যাবসায়, পরিশ্রম, দক্ষতায় মাত্র ৬ বছরের মাথায় ক্যারিয়ারে রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রে তার শীর্ষ অবস্থান পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে দৃশ্যমান! দেখতে দেখতে খ্যাতির আকাশের এই শুকতারা তার রাজকীয় পথচলার ২৬ বছর পার করলেন।”

ঢাকাই ছবির এই নায়কের জীবন বদলে যায় ২০০৬ সালে– ‘কোটি টাকার কাবিন’ মুক্তির পর। সিনেমাটি পরিচালনা করেন এফ আই মানিক। এই সিনেমার পর নিজের মজবুত আসন গড়ে তোলেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘শিকারি’ দিয়ে পর্দায় এক নতুন শাকিব খানের দেখা মেলে। বলা যায়, তারকা শাকিবের নবজন্ম ছিল সেই বছর। এর পর ‘নবাব’, ‘সত্তা’ এবং ‘বীর’ সিনেমা দিয়েও হইচই ফেলে দেন শাকিব। তার পর ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমায় নতুন লুকে দেখা যায় তাকে।

বর্তমানে দেশীয় সিনেমার শীর্ষ নায়কের আসনে রয়েছেন শাকিব খান। দীর্ঘ এই অভিনয় জীবনে অর্জন করেছেন চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ‘খোদার পরে মা’, ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ‘সত্তা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা ২৫৩।

শাকিব খানের জীবনে সবচেয়ে টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়, ২০২৩ সাল। কারণ, ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাতে ভিন্নভাবে উপস্থিত হন তিনি। এর পরের বছর ‘রাজকুমার’, ‘দরদ’ ও ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে যান এই নায়ক।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘অন্তরাত্মা’ ও মেহেদী হাসান পরিচালিত ‘বরবাদ’। তবে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটি না চললেও ‘বরবাদ’ সিনেমাটি আগে সবকিছু ছাপিয়ে যায়। 

চলতি মাসেই একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন শাকিব। তার কথায়, ‘একসময় যখন হতাশ হয়ে যেতাম, ভাবতাম সত্যি হয়তো বা আমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না। আপন মানুষকেই বলতে শুনেছি, তোমার দিন শেষ শাকিব। তুমি ডেড হর্স! তাদের কথা শুনে অবাক হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। ভেবেছি হয়তো এখানেই শেষ, ইতি টানতে হবে। আবার ভেবেছি যাওয়ার আগে লাস্ট একটা ট্রাই তো করে যাই, এতগুলো বছর মানুষগুলো আমাকে ভালোবাসলো, একটা ট্রাই করে যাই। না হলে চলে যাব, ছেড়ে দিব চলচ্চিত্র। শূন্য হাতে এসেছিলাম, যা পেয়েছি; অনেক।”

এদিকে আসছে ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমা। রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাতে শাকিবের সঙ্গে আছেন জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, সাবিলা নূর, এজাজুল ইসলাম, এফ এস নাঈম, রোজী সিদ্দিকী। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমায় আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ ও শারিফুল রাজের মধ্যে যেকোনো একজনকেও দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘শুনতে হয়েছে, তোমার দিন শেষ’
  • ‘বারবার ভেবেছি শেষ চেষ্টা করে যাই’