Prothomalo:
2025-05-31@12:13:02 GMT

তাঁদের ট্রমা এখনো কাটেনি

Published: 30th, May 2025 GMT

ধানমন্ডিতে এক বন্ধুর বাসায় নিমন্ত্রণ ছিল। যানজট পেরিয়ে যার যার মতো পৌঁছে গেলাম। দাওয়াত শেষ করে রাত ১০টায় সবাই বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশে। গতকাল বৃহস্পতিবারের (২৯ মে ২০২৫) ঘটনা। বৃহস্পতিবারের রাত বলে সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিলাম, রাত জেগে ভালো সিনেমা দেখব এবং এরপর আয়েশ করে ঘুমাব। আর অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠব শুক্রবার।

কিন্তু বিধিবাম। বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যানজট ও পানিতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রইলেন উত্তরাগামী এক বান্ধবী। দিবাগত রাত আড়াইটায় খবর পেলাম, অবশেষে তিনি বাড়ি পৌঁছেছেন।

আরেকজন উত্তরাযাত্রী এক্সপ্রেসওয়েতে ভিড় দেখে মিরপুর হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ফেঁসে গেলেন।  রাত তিনটায় কাজীপাড়ায় পানির মধ্যে গাড়ি রেখে উল্টো পথে গিয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে একাই উত্তরার উদ্দেশে রওনা হলেন এই নারী।

তখনো কাজীপাড়ায় শত শত যানবাহন দাঁড়ানো ছিল। পানির জন্য কেউ নড়তে পারছে না। গাড়ি গরম হয়ে যাওয়ায় স্টার্ট বন্ধ করে বসে থাকতে হয়েছিল অধিকাংশের। ওই যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে, রাস্তার বিভিন্ন পথচারী দেখে আমার বন্ধুদের ভয় হচ্ছিল, এখানে আবার কোনো ছিনতাইকারী নেই তো!

এরই মধ্যে বিমানবন্দরে ল্যান্ড করেছে আমার পরিচিত আরেকজন। তিনি এই দুর্গতির খবর পেয়ে এবং আমার সেই উত্তরাগামী বন্ধুকে সিএনজি থেকে রাত সোয়া তিনটায় গাড়িতে তুলে নিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে উত্তরায় পৌঁছে দিতে গেছেন।

রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর পেলাম আমার বন্ধুর গাড়িসহ সব গাড়ি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে কাজীপাড়া থেকে একটা করে পার করে দিয়েছেন। ভোর চারটায় যে যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। আশা করি, ভোর হওয়ার আগেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন নিজ বাড়িতে।

এদিকে আমার যে বন্ধু রাত আড়াইটায় উত্তরায় পৌঁছেছিলেন, তিনি বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে দেখলেন, সেখানে আরেকটি গাড়িতে ছিনতাই হচ্ছে। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য পথে বাসায় যেতে হলো।

আর আমি টেনশনে সারা রাত জেগে আর ফোনাফোনি করে কাটালাম অবিশ্বাস্য এক দুর্যোগের রাত।

আর আমি?

বিকেল পাঁচটায় শান্তিনগরের অফিস থেকে বের হয়ে আড়াই ঘণ্টা পথে আটকে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডি পৌঁছাই। এর মধ্যে আমাদের সবার জন্য আরেকটি বড় সমস্যা ছিল টয়লেটের চাপ। রাস্তায় তিন থেকে চার ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে একজন নারীর পক্ষে টয়লেট আটকে রাখা ভয়ংকর কষ্টের। নাগরিক জীবনে এ আরেক ট্রমা, যা আমরা গতকাল রাতে সবাই ভোগ করেছি।

আমার বন্ধুদের বললাম, ‘তোমরা কালকের বৃষ্টি ও অন্ধকার যানজটের ভয়াবহ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা আর বিড়ম্বনা নিয়ে লেখো।’ তাঁরা বললেন, ‘এখনো ট্রমা আর ক্লান্তি যায়নি। ভয়ে শিউরে উঠছি। ঘুমে শরীর ভেঙে আসছে। ওই ট্রমার কথা আর মনেও করতে চাই না।’

শাহানা হুদা, লালমাটিয়া, ঢাকা।

(প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন এখনই। পাঠিয়ে দিন [email protected]–এ)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

৬নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণ 

মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও নেওয়াজ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার ( ৩১ মে ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ ৬নং ওয়ার্ড এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এসময়ে বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে রান্না করা নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, যুবদল নেতা হানিফ বেপারী, হাসান চৌধুরী, সাগর, সালে আহমেদ, সুমন, কামরুল, সেলিম, নাছির বারেক, দুলাল, আকবর জাকির, জসিম, খন্দকার আল মামুন, রুবেল হোসেন মিন্টু, ইব্রাহিম, সুমন, জলিল, রানাসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ