Prothomalo:
2025-11-03@09:25:04 GMT

তাঁদের ট্রমা এখনো কাটেনি

Published: 30th, May 2025 GMT

ধানমন্ডিতে এক বন্ধুর বাসায় নিমন্ত্রণ ছিল। যানজট পেরিয়ে যার যার মতো পৌঁছে গেলাম। দাওয়াত শেষ করে রাত ১০টায় সবাই বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশে। গতকাল বৃহস্পতিবারের (২৯ মে ২০২৫) ঘটনা। বৃহস্পতিবারের রাত বলে সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিলাম, রাত জেগে ভালো সিনেমা দেখব এবং এরপর আয়েশ করে ঘুমাব। আর অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠব শুক্রবার।

কিন্তু বিধিবাম। বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যানজট ও পানিতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রইলেন উত্তরাগামী এক বান্ধবী। দিবাগত রাত আড়াইটায় খবর পেলাম, অবশেষে তিনি বাড়ি পৌঁছেছেন।

আরেকজন উত্তরাযাত্রী এক্সপ্রেসওয়েতে ভিড় দেখে মিরপুর হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ফেঁসে গেলেন।  রাত তিনটায় কাজীপাড়ায় পানির মধ্যে গাড়ি রেখে উল্টো পথে গিয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে একাই উত্তরার উদ্দেশে রওনা হলেন এই নারী।

তখনো কাজীপাড়ায় শত শত যানবাহন দাঁড়ানো ছিল। পানির জন্য কেউ নড়তে পারছে না। গাড়ি গরম হয়ে যাওয়ায় স্টার্ট বন্ধ করে বসে থাকতে হয়েছিল অধিকাংশের। ওই যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে, রাস্তার বিভিন্ন পথচারী দেখে আমার বন্ধুদের ভয় হচ্ছিল, এখানে আবার কোনো ছিনতাইকারী নেই তো!

এরই মধ্যে বিমানবন্দরে ল্যান্ড করেছে আমার পরিচিত আরেকজন। তিনি এই দুর্গতির খবর পেয়ে এবং আমার সেই উত্তরাগামী বন্ধুকে সিএনজি থেকে রাত সোয়া তিনটায় গাড়িতে তুলে নিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে উত্তরায় পৌঁছে দিতে গেছেন।

রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর পেলাম আমার বন্ধুর গাড়িসহ সব গাড়ি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে কাজীপাড়া থেকে একটা করে পার করে দিয়েছেন। ভোর চারটায় যে যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। আশা করি, ভোর হওয়ার আগেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন নিজ বাড়িতে।

এদিকে আমার যে বন্ধু রাত আড়াইটায় উত্তরায় পৌঁছেছিলেন, তিনি বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে দেখলেন, সেখানে আরেকটি গাড়িতে ছিনতাই হচ্ছে। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য পথে বাসায় যেতে হলো।

আর আমি টেনশনে সারা রাত জেগে আর ফোনাফোনি করে কাটালাম অবিশ্বাস্য এক দুর্যোগের রাত।

আর আমি?

বিকেল পাঁচটায় শান্তিনগরের অফিস থেকে বের হয়ে আড়াই ঘণ্টা পথে আটকে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডি পৌঁছাই। এর মধ্যে আমাদের সবার জন্য আরেকটি বড় সমস্যা ছিল টয়লেটের চাপ। রাস্তায় তিন থেকে চার ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে একজন নারীর পক্ষে টয়লেট আটকে রাখা ভয়ংকর কষ্টের। নাগরিক জীবনে এ আরেক ট্রমা, যা আমরা গতকাল রাতে সবাই ভোগ করেছি।

আমার বন্ধুদের বললাম, ‘তোমরা কালকের বৃষ্টি ও অন্ধকার যানজটের ভয়াবহ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা আর বিড়ম্বনা নিয়ে লেখো।’ তাঁরা বললেন, ‘এখনো ট্রমা আর ক্লান্তি যায়নি। ভয়ে শিউরে উঠছি। ঘুমে শরীর ভেঙে আসছে। ওই ট্রমার কথা আর মনেও করতে চাই না।’

শাহানা হুদা, লালমাটিয়া, ঢাকা।

(প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন এখনই। পাঠিয়ে দিন [email protected]–এ)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।

বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।

বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।

বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।

ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ