বিশ্বখ্যাত নেচার ইনডেক্সে ২০২৫ প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

বৈশ্বিক গবেষণার মানদণ্ডে উচ্চ মানের গবেষণা প্রকাশের ভিত্তিতে প্রণীত এই সূচকে আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অভিজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে উঠে এসেছে বেরোবির নাম।

এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুধু একটি স্বীকৃতি নয়, বরং দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য এক অনন্য গর্বের বিষয়।

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরে মাঝারি তাপপ্রবাহ 

বেরোবিতে মামলা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বাদ দেওয়ায় বিক্ষোভ

সম্প্রতি প্রকাশিত নেচার ইনডেক্সের এ সূচকে স্থান পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেরোবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। এই স্বীকৃতি নতুন প্রজন্মকে গবেষণামুখী ও উদ্ভাবনী ভাবনার দিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. শওকত আলী বলেন, “এই অর্জন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও একাগ্রতার ফল। আমরা বিশ্বাস করি, গবেষণার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং এই স্বীকৃতি আমাদের সেই পথেই এগিয়ে নিচ্ছে। বিগত সময়ে যা কেউ পারেনি, এখন সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো লাগার একটি বিষয়। আমি আশা ও বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে আরো সুন্দরভাবে তুলে ধরবে এবং নিজেদের যোগ্যতার জানান দেবে। এ লক্ষ্যে আমি ইতোপূর্বে বিনামূল্যে আইএলটিএস টেস্ট, ইংলিশ কোর্স এবং গবেষণায় জোর দিয়েছি।”

নেচার ইনডেক্স হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যা বিশ্বের খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্লেষণ করে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর র‍্যাংকিং নির্ধারণ করে।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন চ র ইনড ক স প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

সাগর উত্তাল: মাঝপথ থেকে ফেরত এলো সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার

সাগর উত্তাল থাকায় মাঝপথ থেকে সেন্টমার্টিনগামী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ যাত্রীবাহী ট্রলার কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরত এসেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার খায়ুকখালী ঘাটে ট্রলারটি পৌঁছে। তবে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর একই দিন সকালে দুটি খালি এবং একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ যাত্রীবাহী একটি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছিল। এ ছাড়া আরও দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে যেতে না পেরে টেকনাফে ফেরত আসে।

টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া সেন্টমার্টিনগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার ফেরত এসেছে। তবে একই দিন সকালে পণ্যবাহী ট্রলারসহ আরও দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তালের কারণে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার ফেরত এসেছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামীকাল (সোমবার) খুব সকালে পণ্যবাহী ট্রলারসহ যাত্রীরা রওনা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই দিন সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি ট্রলারসহ দুটি খালি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছেছে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌরসভাস্থল খায়ুকখালী ঘাটে সেন্টমার্টিনের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এতে পুরুষদের ট্রলারে অনুমতি মিললেও নারীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। এতে নারীরা অনেক বিপাকে পড়েছেন। ফলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ সময় ঘাটে অপেক্ষমাণ সেন্টমার্টিনের মাজারপাড়ার বাসিন্দা শামসুন নাহার বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে নয় দিন ধরে টেকনাফে আটকা পড়েছি। আজকে ট্রলার চলাচল করলেও আমাদের (নারীদের) ট্রলারে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না। আমার কাছে কোনও টাকা নেই, সন্তান নিয়ে খুব বিপদে আছি। দ্বীপে পরিবারের আরও সদস্য রয়েছে। তারাও অনেক সমস্যায় আছে খাবার নিয়ে। তা ছাড়া এখানে আমাদের কেউ সাহায্য করছে না।’

ঘাটে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে আসা দ্বীপের প্রায় ৩’শ মানুষ টেকনাফে আটকা পরেছে। তারা খুব সমস্যায় আছে। আজকে ট্রলার চলাচল শুরু হলেও নারীরা যেতে পারছে না। তাছাড়া দ্বীপে বৈরী আবহাওয়ার কারনে যদি পর্যটকরা আটকা পরে,তাদের আমরা (দ্বীপবাসী) সাহায্য করে থাকি। কিন্তু দ্বীপের লোকজন এখানে  (টেকনাফে) আটকা পরলে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসে না।’    

জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউপি (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় মাঝপথ থেকে যাত্রীবাহি ট্রলার ফেরত এসেছে টেকনাফে। তার আগে সকালে দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেসহ কিছু মানুষ দ্বীপে পৌছেছিল। তবে দ্বীপের অনেক মানুষ টেকনাফে আটকা পরেছে। সব মিলিয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছেন।’  

সম্পর্কিত নিবন্ধ