প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে থাকা ছোট লেখা পড়তে সক্ষম লেজার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়নার একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, নতুন এ লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৩ মিলিমিটার রেজল্যুশনের যেকোনো অক্ষর পড়া সম্ভব। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, দূরের ছবিতে ফোকাস করার পরিবর্তে আলো কীভাবে কোনো পৃষ্ঠে আঘাত করে, তার ওপর ভিত্তি করে নতুন লেজার প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। নতুন এ লেজার প্রযুক্তি নির্দিষ্ট বিন্দুতে আটটি ইনফ্রারেড লেজার রশ্মি নির্গত করে থাকে। এরপর আলোর প্রতিফলনের তীব্রতা দুটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে ধারণ করা হয়। ধারণ করা তথ্য পর্যালোচনা করে উচ্চ রেজল্যুশনে ক্ষুদ্র লেখা ও অন্যান্য সূক্ষ্ম বিবরণ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

নতুন এ প্রযুক্তির ব্যবহারিক পরীক্ষায় ১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট আকারের লক্ষ্যবস্তুর ছবি সফলভাবে ধারণ করা হয়েছে। ছবিটি কোনো একক টেলিস্কোপের বিবর্তন সীমার চেয়ে যা প্রায় ১৪ গুণ বেশি রেজল্যুশনের বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, নতুন এই পদ্ধতি উচ্চ রেজল্যুশনের অপটিক্যাল ইমেজিং ও সেন্সিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও কার্যকরভাবে তথ্য জানার সুযোগ মিলবে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন এ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ