বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকসহ ৩ নেতা পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মব সৃষ্টির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি তাদের। আজ রোববার রাতে বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওই তিন নেতা। 

পদত্যাগ করা নেতারা হলেন- জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক হাসিবুল আলম তুরান, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহসিন আহমেদ রাতুল। 

সংবাদ সম্মেলনে তুরান বলেন, ‘সংগঠনের জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন উদ্দিন সাবেক ছাত্র শিবির নেতা। তিনি কিছুদিন আগে নগরীতে চাঁদাবাজি ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান। এর সঙ্গে আমি জড়িত না। তারপরও আমার নাম জড়ানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার না করে মব তৈরি করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত এবং সচেতনতা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে সংগঠনটি। পুরনো রাজনৈতিক ধারায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলা বাণিজ্য ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নিজেদের মধ্যে কোন্দলও সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন নারীরা রাস্তায় নামতে ভয় পান। তাদের নানা অপবাদ ও ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। এ সব কর্মকাণ্ড জুলাইয়ের শহীদ-আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানির শামিল।’
 
সংবাদিকাদের প্রশ্নের জবাবে পদত্যাগ করা তিন নেতা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য তারা জুলই আন্দোলনে নিয়েছিলেন। এখন যা হচ্ছে- তাতে মানুষের অভিশাপ নেওয়া লাগছে। অভিশাপমুক্ত থাকতে তারা পদত্যাগ করেছেন। 

৩ নেতার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘পদত্যাগের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। দলে অপকর্ম হয়ে থাকলে আগে প্রতিবাদ করেননি কেন তারা? আমার কাছে কারো কোনো অপকর্মের প্রমাণ নেই। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী 

বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।

কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” 

বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।” 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী