ঈদুল আজহার বিশেষ আয়োজনের অংশ হিসেবে টেলিভিশন, ইউটিউবে প্রচার হবে দয়াল সাহার চিত্রনাট্য, সকাল আহমেদ পরিচালিত নাটক ‘দোষটা কার?’। সামাজিক মূল্যবোধ, নারীর মর্যাদা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং সম্পর্কের জটিলতার মতো গভীর বিষয়গুলো নিয়ে নির্মিত এ নাটক নিয়ে আশাবাদী দয়াল সাহা।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রায়হান। এ চরিত্র রূপায়ন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান। রায়হান একজন সাধারণ মুদি দোকানি। মনের দিক থেকে অসাধারণ। রুহিকে নিঃস্বার্থভাবে বিয়ে করে, পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় এবং গভীর ভালোবাসায়ে আগলে রাখে। অথচ শহুরে চাকচিক্য না থাকায় রুহির চোখে রায়হান কখনো কাঙ্ক্ষিত পুরুষের মর্যাদা পায় না।
রুহির জীবনে আসে আরেক শহুরে যুবক, তার নাম শাহেদ। ক্যাম্পাসের স্মার্ট তরুণ। বাইক, কফি, আড্ডা। সব মিলিয়ে শাহেদ যেন আধুনিক প্রেমিকের প্রতিচ্ছবি। রুহি রায়হানকে ছেড়ে শাহেদের প্রেমে পড়ে, তালাক চায়। নিঃশব্দে চোখের জল ফেলে রুহিকে মুক্তি দেয় রায়হান।
আরো পড়ুন:
ঈদে প্রিয়া-তন্ময়ের ‘ধোকা’
ঈদুল আজহার রাতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের নতুন সিজন
নাটকের মোড় ঘুরে যায় শেষাংশে। শাহেদের মুখোশ খুলে যায়। রুহি উপলব্ধি করে, ভালোবাসার নামে শাহেদের ছিল কেবল লোভ আর প্রতারণা। অপমানিত হয়ে রুহি ফিরে আসে রায়হানের কাছে। পায়ে পরে ক্ষমা চায়। রায়হান তখনো শান্ত স্বরে বলেন, “সংসার ভাঙলে অনেক কষ্ট হয়, সেই কষ্ট দ্বিতীয়বার নিতে চাই না।” সংসারে ফেরা হয় না রুহির। রায়হান ফিরে যায় নিজ গ্রামে।
নাট্যকার দয়াল সাহা এখানে কেবল একটি সম্পর্কের গল্প বলেননি, তুলে ধরেছেন সংসার টিকিয়ে রাখতে পুরুষের সংগ্রাম এবং ভালোবাসার সত্যিকারের মানে। পরিচালক সকাল আহমেদ নাটকের প্রতিটি দৃশ্যকে করেছেন বিশ্বাসযোগ্য। গ্রাম, শহর, সংসার, নিঃসঙ্গতা সব মিলিয়ে ‘দোষটা কার?’ নাটক দর্শকের মনে জায়গা করে নেবে এই প্রত্যাশা কলাকুশলীদের।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা