নেশা তাঁর লটারির টিকিট কেনা—যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের এক বাসিন্দা নিজের ভাগ্য যাচাই করতে একের পর এক লটারির টিকিট কেনেন। আর এ কাজ করেই তিনি তৃতীয়বারের মতো জিতে গেছেন ছয় অঙ্কের পুরস্কার।
সর্বশেষ লটারি জয়ের পর ওই ব্যক্তি মেরিল্যান্ড লটারি কর্তৃপক্ষকে বলেন, স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ ডলার ধার নিয়ে এবারের লটারির টিকিটটি কিনেছিলেন তিনি।
স্বামীর লটারির টিকিট কেনার নেশার কথা খুব ভালোভাবেই অবগত আছেন তাঁর স্ত্রী। তাই তিনি শুরুতে টাকা দিতে চাননি। কিন্তু ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে বুঝিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১০ ডলার ধার নেন।
কী বলে স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে ওই ব্যক্তি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি তাঁকে বলেছিলাম, তুমি তো জানো, আমি যা–ই জিতব সেটা তোমার সঙ্গে ভাগ করে নেব।’
ওই ব্যক্তি এর আগে ২০২২ সালে মেরিল্যান্ড লটারি থেকে টিকিট কিনে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার জিতেছিলেন। এরও কয়েক বছর আগে তিনি লটারি থেকে এক লাখ ডলার জিতেছিলেন।
ওই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি থামবেন না, লটারির টিকিট কেনা চালিয়ে যাবেন। এবার তাঁর লক্ষ্য আরও বড় পুরস্কার জেতা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ১০ লাখ বা ২০ লাখ ডলার পুরস্কার জিততে চাই। একবার ওই পুরস্কার জিতে গেলে তবে আমি ক্ষান্ত দেব।’
এবার জেতা পুরস্কারের অর্থ কীভাবে খরচ করবেন সে পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন তিনি। ওই ব্যক্তি বলেন, এবারের অর্থ দিয়ে তিনি রান্নাঘরে নতুন কেবিনেট স্থাপন করবেন, পুরো বাড়ির জানালা পরিবর্তন করে নতুন জানালা লাগাবেন এবং নাতি-নাতনিদের কলেজে পড়ার খরচ জোগাবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র জ ত
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাকে
‘মুক্তিযোদ্ধা’ সংক্রান্ত যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে সরকারের কাছে দ্রুত ব্যাখ্যা দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলেছে, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যা মুক্তিযুদ্ধ এবং এর চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বজলুর রশিদ ফিরোজ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
সভায় সাম্প্রদায়িক শক্তির চাপে নরসিংদীর কলেজ শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে বদলির নামে হয়রানির প্রতিবাদ জানান হয়। এ সময় রাখাইনের ‘করিডোর’ ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ প্রদান বন্ধের দাবিতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘রোড মার্চ’ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে জনমত উপেক্ষা করে করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপি ওয়ার্ল্ড ও সরকারের তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানানো হয়।