কোহলির আইপিএল শিরোপা জেতায় যে ভূমিকা আনুশকার
Published: 4th, June 2025 GMT
‘মোরা কেঁদেছি একই দুঃখে, হেসেছি একই সুখে’—বাংলা ব্যান্ড ওয়ারফেজের গানের লাইন। বিরাট কোহলি কিংবা আনুশকা শর্মার তা শোনার সম্ভাবনা কম। সুদূর ভারত আর হিন্দি ভাষী দুই তারকা বাংলা ব্যান্ডের এই গান শুনবেন না হয়তো পরের দুটি লাইনের জন্যও, ‘কখনো ভাবিনি তুমি চলে যাবে/এভাবে রেখে আমায় একাকী।’
এমন কিছু তো তাঁদের সম্পর্কে ঘটেনি কখনোই। একসঙ্গে তাঁরা হেসেছেন, একসঙ্গে কেঁদেছেন—এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছেন বছরের পর বছর। আইপিএল এসেছে, কোহলি রান করেছেন, কিন্তু শিরোপা জিততে পারেননি। ছকে বাধা ওই নিয়তির সময়গুলোতে বহুবারই ভেঙে পড়েছেন কোহলি। কিন্তু তাঁর পাশ থেকে কখনোই সরে দাঁড়াননি স্ত্রী আনুশকা।
১৮ বছরের আক্ষেপ দূর করে কোহলি যখন কাল আইপিএল জিতলেন, ছল ছল চোখ সঙ্গী করে আলিঙ্গনে স্ত্রীর প্রতি যেন সেই কৃতজ্ঞতা জানালেন। আনুশকার জন্যও মুহূর্তটা বেশ দামি। বেঙ্গালুরুতেই বেড়ে উঠেছেন, ২০১৪ সাল থেকে দলটিকে সমর্থনও করছেন। এখন দেখেছেন শিরোপা জয়।
ট্রফি নিয়ে উদযাপনে পুরো বেঙ্গালুরু দলের সঙ্গী কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।