চট্টগ্রাম নগরে ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম নাজিমুদ্দীন (৪১)। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাজিমুদ্দীন ফটিকছড়ির নাজিরহাটের গোলমুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক নাজিমুদ্দীন। ধর্ষণের বিষয়টি না জানাতে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি বলে দেবে জানালে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরাও মুখ খোলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে এই মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরে ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম নাজিমুদ্দীন (৪১)। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাজিমুদ্দীন ফটিকছড়ির নাজিরহাটের গোলমুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক নাজিমুদ্দীন। ধর্ষণের বিষয়টি না জানাতে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি বলে দেবে জানালে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরাও মুখ খোলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে এই মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ