কমনওয়েলথ গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, দেবে ৩টি পুরস্কার
Published: 31st, October 2025 GMT
‘কমনওয়েলথ ছোটগল্প পুরস্কার’ একটি বার্ষিক পুরস্কার। এটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হলো, কমনওয়েলথের কথাসাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা ও নতুন লেখকদের উৎসাহিত করা। প্রতিবছর অপ্রকাশিত ছোটগল্পের জন্য এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে এশিয়া অঞ্চল থেকে একজন বাংলাদেশি লেখকও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ ছোটগল্প পুরস্কার প্রতিযোগিতার আবেদন গ্রহণ চলছে। আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। নিজের টাইমজোন অনুযায়ী শেষ সময় জানতে আলাদা লিংক থেকে দেখা যাবে।
প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে অংশগ্রহণ করা যাবে এবং কমনওয়েলথভুক্ত যেকোনো দেশের ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী নাগরিকেরা অংশ নিতে পারবেন। অপ্রকাশিত ছোটগল্পের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। গল্প হতে হবে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার শব্দের মধ্যে। বাংলা, চীনা, ইংরেজিসহ অর্থাৎ মোট ১৩টি ভাষায় গল্প লেখা যাবে।
আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেল প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ২৫টি গল্পের একটি তালিকা করবেন। সেখান থেকে পাঁচটি বিভাগের জন্য পৃথক বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। এর মধ্যে একজন সর্বোচ্চ বিজয়ী, যিনি পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড। অন্যান্য বিজয়ীকে দেওয়া হবে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড করে। পাঁচটি গল্পই গ্রান্টা (Granta) ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে।
আবেদন করা যাবে শুধু অনলাইনে। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য কমনওয়েলথ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। যেকোনো প্রশ্নের জন্য ই–মেইল করতে পারবেন— [email protected] এই ঠিকানায়।
একনজরে–
শব্দসীমা: ২০০০–৫০০০ শব্দ।
পুরস্কার: প্রথম পুরস্কার ৫,০০০ পাউন্ড। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পুরস্কার ২,৫০০ পাউন্ড।
আবেদনের শেষ সময়: ১ নভেম্বর ২০২৫।
আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন২১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র ছ টগল প প রক শ প উন ড র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের নোবলনগর এলাকায় গতকাল বুধবার গাড়ির নিচে পড়ে গিয়েছিল তিন বছরের এক শিশুকন্যা। তবে অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে সে।
অভিযোগ উঠেছে, এক কিশোর গাড়িটি চালাচ্ছিল। এ ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গাড়িতে নম্বর প্লেট ছিল না, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল। পুলিশ ঘটনার পর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন শিশুটি তার বাড়ির বাইরে রাস্তায় খেলা করছিল। কিশোর চালকটি তাকে দেখতে না পেয়ে তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করার পর চালক গাড়িটি থামায়। সঙ্গে সঙ্গে লোকজন জড়ো হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়ি থামানোর পর ভীতসন্ত্রস্ত শিশুটি চিৎকার করতে করতে গাড়ির নিচ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে চালকও বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর একজন নারী ওই কিশোর চালককে চড় মারছেন। এ সময় শিশুটি হাঁটাচলা করতে পারছিল।
আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তারা চালকের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ‘জি’ ডিভিশন ট্রাফিক থানায় বিএনএস আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটি সড়কের নিরাপত্তা এবং আবাসিক এলাকায় আরও বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ঘটনাটিকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটি ১০০ ভাগ আটকানো যেত। এর একটাই অলঙ্ঘনীয় নিয়ম—অপ্রাপ্তবয়স্ক বা লাইসেন্সবিহীন কোনো ব্যক্তিকে কখনোই গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। গাড়ির চাবি শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদে দূরে রাখতে হবে। লাইসেন্সধারী চালকের জন্য নিয়ম হলো, সব সময় ধীরে ধীরে গাড়ি ঘোরানো এবং ভালোভাবে সব লুকিং গ্লাস ও ব্লাইন্ড স্পট পরীক্ষা করা।’
আরেক ব্যবহারকারী মা–বাবাকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই ভিডিও প্রমাণ করেছে যে অলৌকক ঘটনা সত্যিই ঘটে...কিন্তু সব সময় নয়। রাস্তা খেলার জায়গা নয়...মা–বাবার উচিত বাচ্চাদের দিকে সব সময় নজর রাখা।’
অন্য আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটি কীভাবে গাড়ির চাবি পেল? তার মা–বাবাকে কারাগারে পাঠানো উচিত।’
 গুদামে বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা ১৪৯ পিপিএম, মুহূর্তেই অচেতন হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি
গুদামে বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা ১৪৯ পিপিএম, মুহূর্তেই অচেতন হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি