সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে এসে যদি দেখেন, সেখানে মনের সুখে সাঁতার কাটছে একটি কুমির কিংবা পুলের পাড়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে রোদ পোহাচ্ছে, তবে কেমন লাগবে? ভয়ে উল্টো ঘুরে নিশ্চিত দৌড় দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ফ্লোরিডা শেরিফের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তাদের কর্মকর্তারা এক দিনে দুটি আবাসিক এলাকার সুইমিংপুল থেকে দু–দুটি কুমির সরিয়ে নিয়েছেন। এ কাজে তাঁদের সহায়তা করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি, যিনি কুমির ধরেন।

মার্টিন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ডন ফেরিস ও ক্রিস্টাল ন্যাশের সঙ্গে পেশাদার ‘ট্র্যাপার’ ম্যাট হাইনস জেনসেন বিচের পাইনক্রেস্ট লেকস এলাকার একটি বাড়ির সুইমিংপুল থেকে সাত ফুট লম্বা একটি কুমির সরিয়ে নিচ্ছেন।

ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘অবাঞ্ছিত অতিথি’ তার অপ্রত্যাশিত দর্শকদের উপস্থিতিতে একেবারেই অপ্রভিত ছিল না।

ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ‘যতটা অবিশ্বাস্যই মনে হোক, এটা আমাদের আবাসিক এলাকায় দ্বিতীয়বার কোনো সুইমিংপুলে কুমিরের রোদ পোহানোর ঘটনা।’

শেরিফের কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, এখন কুমিরদের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ কারণে হয়তো সেগুলো নিজেদের আবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। শেরিফের কার্যালয় থেকে তাই এলাকাবাসীকে এ সময়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এ সময়ে কুমির অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এমন জায়গায় চলে যেতে পারে, যেখানে সেগুলোকে সাধারণত দেখা যায় না। যেমন এই বাড়ির মতো জায়গায়। যেখানে পুরো আঙিনা বেড়া দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে, কুমিরটি হয়তো বেড়া বেয়ে উঠে এসেছে বা কোনোভাবে নিচ দিয়ে পথ খুঁজে পেয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফাঁকা রাজধানী, ঘরমুখী মানুষের ভিড় টার্মিনালে

ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগে বুধবার ছিল শেষ কর্মদিবস। ওই দিন বিকেল থেকেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরমুখী মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাস টার্মিনালে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আর অনেকেই স্বস্তির জন্য ঢাকা ছাড়ছেন আজ শুক্রবার। এখন বাস টার্মিনালে ভিড় থাকলেও পাল্টে গেছে ব্যস্ততম রাজধানীর চিরচেনা দৃশ্য।

আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহন ছিল হাতে গোনা। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল কম। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম হলেও যাঁরা ছিলেন, গণপরিবহন পেতে তাঁদের ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। আছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও।

রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ঈদের ছুটিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী যাচ্ছেন তিনি। গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কথা জানালেন জান্নাতুল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, গাড়ি পাচ্ছি না। আবার এক-দুটি গাড়ি পেলেও সেখানে অনেক মানুষের ভিড়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ভাড়াও দ্বিগুণের মতো চাচ্ছে।’

অবশ্য বাস টার্মিনালে ছিল মানুষের ভিড়। উত্তরের পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে। আগে টিকিট কেটেও অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও র‍্যাবের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

মহাখালী বাস টার্মিনালে রাজশাহী, বগুড়া ও নাটোরগামী ‘একতা’ পরিবহনের টিকিট বিক্রি করছেন সাঈদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাতে বিক্রি করার মতো এখন আর কোনো টিকিট নেই। আমাদের যাত্রীরা এসে বসে আছেন, তাঁরা যেতে পারছেন না। আমাদের গাড়িগুলো যমুনা সেতুর ওপারে জ্যামে আটকে আছে।’

ঈদ সামনে রেখে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানীর রাস্তাঘাট। শুক্রবার বেলা দেড়টায় রাজধানীর কুড়িলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ