ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। 

আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একশ’ জন এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) দুইশ’ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই অপেশাদার (মৌসুমি) কসাই। 

ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা.

মুশতাক আহমেদ জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ১০০ জনের বেশি চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে অধিকাংশের আঘাত গুরুতর নয়। জখম বেশি এমন কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতি ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে অসাবধানতায় প্রচুর মানুষ আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন আহত ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘তাণ্ডব’ সিনেমা চলাকালে কারিগরি ত্রুটি, ময়মনসিংহের ছায়াবাণী হলে ভাঙচুর

শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা চলাকালে কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় ময়মনসিংহ নগরের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ভাঙচুর করেছেন ক্ষুব্ধ দর্শকেরা। ঈদের দিন শনিবার বিকেলে এই হামলার পর নগরীর সি কে ঘোষ রোড এলাকার সিনেমা হলটিতে একটি প্রদর্শনী বন্ধ থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে আবার প্রদর্শনী চালু হয়।

স্থানীয় সূত্র ও কয়েকজন দর্শক জানান, ‘তাণ্ডব’ ছবি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই সিনেমা হলটিতে দর্শকদের ভিড় দেখা যায়। আসনসংখ্যার তুলনায় দর্শক বেশি হওয়ায় প্রদর্শনী চালাতে হিমশিম খেতে হয় হল কর্তৃপক্ষকে। ৭৫০ আসনসংখ্যার দোতলা হলটিতে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া প্রদর্শনীর শেষ সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় সিনেমা বন্ধ হয়ে গেলে দর্শকেরা উত্তেজিত হয়ে বেশ কয়েকটি চেয়ার, টিকিট কাউন্টারের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন।

কিছু দর্শকের অভিযোগ, ছবি চলাকালে সাউন্ড সমস্যা, আবার কখনো ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কিছু দর্শক উত্তেজিত হয়ে ঘটনাটি ঘটান।

ময়মনসিংহ নগরের তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর আবার সিনেমা হলে প্রদর্শনী শুরু হয়।

ছায়াবাণী হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ বলেন, ‘সিনেমা প্রদর্শনের সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। কিন্তু দর্শকেরা এমন করবেন, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। সমস্যা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সমাধানও হয়েছে। কিন্তু দোতলা থেকে দর্শকেরা যেভাবে একের পর এক আসন নিচে ছুড়ে মেরেছেন, এতে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। তাঁরা চেয়ার, ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে টাকাও লুট করেছেন। এমন হলে হল চালানো যাবে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ