সিলেটে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ৭৬, হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন
Published: 8th, June 2025 GMT
সিলেটে কোরবানি দিতে গিয়ে হাত-পা কাটাসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৬ জন। এর মধ্যে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ২৬ জন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঈদের দিন গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতাল থেকে আরও জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, মারামারি, অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। এর বাইরে কোরবানি দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত আহত হয়েও অনেকে ভর্তি হয়েছেন। কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অন্য ২৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের হাত ও পায়ের শিরা কেটে গেছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে কথা হয় চিকিৎসাধীন ওয়াসিম উদ্দিনের (২৪) সঙ্গে। তাঁর শয্যার পাশে বসে ছিলেন মা সমলা বেগম।
ওয়াসিম বলেন, গতকাল সকালে তাঁরা সিলেট নগরের চৌকিদেখি এলাকায় গরু কোরবানি দিচ্ছিলেন। তিনিসহ আরও দুজন গরুর মাথা চেপে ধরেছিলেন। এ সময় গরু হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠলে গরুর গলায় চালানো ছুরি তাঁর হাতে লেগে শিরা কেটে গেছে। হাসপাতালে আসার পর ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। রাতে অস্ত্রোপচার করা হবে।
একইভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরের বাসিন্দা সামাদ আহমদ (২৬) ও সিলেটের কালাগুল এলাকার শানুর মিয়া (৩৬)। তাঁদের দেখভাল করছিলেন স্বজনেরা।
সামাদ আহমদ বলেন, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কোরবানির গরু জবাই করতে গিয়ে ছুরিতে বাঁ হাতের দুটি আঙুল কেটে গেছে। রক্তক্ষরণ থামছিল না, দ্রুত হাসপাতালে এসেছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।
হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে অনেকে অসাবধানতাবশত আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের অধিকাংশের শিরা কেটে গেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি জরুরি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শিরা কেটে যাওয়ার বিষয়টি জটিল। যাঁদের শিরা কেটে গেছে, তাঁদের অস্ত্রোপচার করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হয় ছ ন ক রব ন গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব