নিজেদের চুরি যাওয়া গাড়ি চুরি করেই নিয়ে এলেন দম্পতি
Published: 10th, June 2025 GMT
গাড়ি চুরি হয়ে যাওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। কিন্তু পুলিশ ব্যস্ততার কথা বলে গাড়ি চুরির ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতেই আগ্রহী ছিল না। বাধ্য হয়ে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই মাঠে নামেন ওই দম্পতি। গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে নিজেদের গাড়ি নিজেরাই চুরি করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমসে এ দম্পতি এবং তাঁদের চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ মাসের শুরুতে মিয়া ফর্বস পিরি ও মার্ক সিম্পসন দম্পতির জাগুয়ার ই-পেস গাড়িটি তাঁদের পশ্চিম লন্ডনের ব্রুক গ্রিনের বাড়ি থেকে চুরি যায়।
চুরি ঠেকাতে তাঁদের গাড়িটিতে এমন একটি গোপন নিরাপত্তাযন্ত্র লাগানো ছিল, যেটি গাড়ির ইঞ্জিন চালু হতে বাধা দেয়। সঠিক পিন কোড, প্যাডেল কম্বিনেশন বা বোতামের সিকোয়েন্স ব্যবহার করে কেবল গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা যায়। গাড়িতে এয়ারট্যাগ লোকেটরও সংযুক্ত ছিল। এই যন্ত্রের সাহায্যে গাড়িটি কোথায় আছে, তা–ও জানা যায়।
এত সব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার পরও একদিন তাঁরা আবিষ্কার করেন, গাড়িটি তাঁদের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছে। গাড়ি চুরি হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে সেটিকে অনুসরণ করে তাঁরা পশ্চিম লন্ডনের চিজউইকে পৌঁছান এবং সব তথ্য নিয়ে পুলিশকে ফোন করেন।
কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্যান্য মামলা নিয়ে তারা খুবই ব্যস্ত। তাই তাঁদের গাড়ি চুরি নিয়ে কবে নাগাদ তদন্ত করা সম্ভব হবে, তা পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
চুরি ঠেকাতে তাঁদের গাড়িটিতে এমন একটি গোপন নিরাপত্তাযন্ত্র লাগানো ছিল, যেটি গাড়ির ইঞ্জিন চালু করতে বাধা দেয়; সঠিক পিন কোড, প্যাডেল কম্বিনেশন বা বোতামের সিকোয়েন্স ব্যবহার করে কেবল গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা যায়। গাড়িতে এয়ারট্যাগ লোকেটরও সংযুক্ত ছিল। এই যন্ত্রের সাহায্যে গাড়িটি কোথায় আছে, তা জানা যায়।ওই দম্পতি ৪ জুন প্রথম গাড়ি উধাও হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। গাড়িতে সংযুক্ত এয়ারট্যাগের তথ্যানুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত গাড়িটি ওই দম্পতির বাড়ির বাইরে পার্ক করা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিজউইকে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশকে না নিয়েই তাঁরা দ্রুত সেখানে চলে যান।
গাড়িটি পাওয়া যায় মূল সড়কের পেছনের দিকে একটি নিরিবিলি গলিতে। চোরের দল গাড়িটির ভেতরের দিকের কিছু অংশ ও কার্পেট ছিঁড়ে ফেলেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তারের মাধ্যমে তাঁরা গাড়িটি চালু করার চেষ্টা করেছিল।
লিংকডইনে এক পোস্টে পিরি বলেন, ‘মনে হয়েছিল, পুলিশের কোনো আগ্রহ নেই। নিজেদের গাড়ি নিজেরাই চুরি করে আনা খানিকটা মজারই।’
তবে কাজটি করা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন বলে জানান এই নারী। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আদৌ কি এমনটা করা উচিত হবে—আমরা এমনটা ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম। এটা স্বাভাবিক কি না, সেটাই শুধু নয়, বরং এটা কতটা ন্যায়সংগত।’
‘মনে হয়েছিল, পুলিশের কোনো আগ্রহ নেই। নিজেদের গাড়ি নিজেরাই চুরি করে আনা খানিকটা মজারই।’মিয়া ফর্বস পিরি, চুরি যাওয়া গাড়ির মালিকপিরি দম্পতির ধারণা, চোরের দল একটি ‘ফ্ল্যাট বেড’ ট্রাকে তুলে তাঁদের গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায়।
এ দম্পতি তাঁদের গাড়ি উদ্ধার করার পর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছে, পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি ফরেনসিক দল পাঠানো হবে।
দ্য টাইমসকে পিরি বলেন, ‘যখন আমরা গাড়িটি খুঁজে পেয়েছি, অনেকেই সেটি স্পর্শ করেছেন।’ পুলিশ বলেছে, তারা কার্পেটের নিচে এবং ফিউজ বক্সে ছাপ আছে কি না, দেখতে পরীক্ষা করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত