তাপপ্রবাহের বিস্তার কমেছে, বাড়বে বৃষ্টি
Published: 12th, June 2025 GMT
বৃষ্টির কারণে ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহের বিস্তার কমেছে। মঙ্গলবার দেশের ৪৯ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। গতকাল বুধবার মৃদু তাপপ্রবাহ ছিল ২১ জেলায়। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রা মঙ্গলবারের চেয়ে কমেছে। কমেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে বৃষ্টি। তবে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তিটা থাকবে। চলতি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ এটা হয়তো চলে যাবে।
সিরাজগঞ্জ বাদ দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সর্বত্র এবং টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফেনী, বাগেরহাট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তবে বৃহস্পতিবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর ডিমলায়।
গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনে রাজধানীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় থাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতাটা কম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক