দূর থেকে উপগত হলে
শিকারি পাখির উড়ে যাওয়ার মতো
ছায়া ভুলে দূরে কোনো অভিভূত রোদে
যারা উড়ে যায়, অথবা উড়তে পারে,
যারা আকস্মিক জলজ বঙ্কিম কোনো
সরু রেখা ধরে নিজেকেই ক্রমাগত
অস্বীকার করে; কিংবা নিজ হাতে গড়া
বুদ্বুদের নাভি ছিঁড়ে রোদ লাগা চোখে
বহুবিধ শিস রাখে বাইরে বাইরে
তারা জানে ভালো করে—চোখের সকল
জমে থাকা ক্ষত দূর থেকে দেখা হলে
বিস্তারিত সব অঘটন চোখে পড়ে—
নিজ জামা খুলে কোলাহল ভুলে থাকা
চুপ কোনো বনগ্রামে উপগত হলে
মনে হয় দূর থেকে দেখা যায় বেশি—
একদম শেষে যেন আর কিছু নেই
কেবল মাথার পাশে পাখিরা উড়ছে,
সারা হাত-মুখে তোমার দেহের পলি
সুবাসিত হয়ে আছে গহিন আদরে,
বর্ষণের পরে আরও খুব কাছাকাছি
ডোরাকাটা জোছনার স্মৃতি ঝরে পড়ে,
সাদা কাশফুল হিল-হিল করে দোলে,
শরতের ভোর যেন সহসা এসেছে—
আস্বাদের পরে যত বেশি কাছাকাছি
সময় কাটানো যায়; যতখানি ভেঙে
চক্রাকারে নুয়ে দুজনের খুব কাছে
কুসুম ফুলের স্বরে মেখে থাকা যায়,
অধিক নির্জনে যতখানি কাছে আসি,
মধু রাখা মুখে তাকে শুধু প্রেম বলি—
আকাশে নিকিয়ে থাকা সব ঘন আলো
কমে আসার ভেতর উড়ে যাচ্ছে সব
ভরপেট সারসেরা; প্রান্তরের দেহে
পড়ে আসা রোদে মানুষের যাতায়াত
অনুমিত হয়; যেন তারাও ফিরছে
নিজ হাতে গড়ে রাখা উষ্ণতার কাছে,
কমলা রঙের পাশে অবিরাম কাঁপে
শীতলষষ্ঠী দিনের অনুগামী চাঁদ—
এরপর আকাশের বুক খুলে ধীরে
বের হয়ে আসা অনুপম হাওয়ারা
পৃথিবীর সব তামারঙা লোকদের
দেহের ভেতর দিয়ে উড়ে যায় আর
গাছদের সরু পাতাগুলো ঘিরে শুধু
শব্দ হয়, যেন রাত্রি এবার নামবে—
যখনই কোনো দুঃখ আসে আকস্মিক,
সারা দেহ ঘিরে করোটির চারপাশে
যখনই হৃদয়ের ডহরে ডহরে
করুণ জলের দেহ অনায়াসে কাঁপে,
কিংবা আয়ুর অসীমে কী এক বিরান
সব দ্বিধা ফেলে রেখে সমূহ বিস্তারে
নিদ্রাহীন ক্রীড়া করে আর প্রকাশিত
ফুলের কাছেই আফসোস খুলে পড়ে,
মাথার ভেতরে জমে থাকা আন্তরিক
সুবাসিত সব আলো, অরূপ রোশনি
জলের বিন্যাসে অবিরাম কেঁপে কেঁপে
অ্যাবসার্ড হয়ে পড়ে; যেন কিছু নেই
নিজের ছায়ার চারপাশে বিজড়িত,
ধূসর রাত্রি কেবল আকর্ণবিস্তৃত!
বিজড়িত কিছু ছেড়ে যাওয়ার পথে
পাখি বসে থাকা গাছের ভেতর দিয়ে
যেসব হাওয়া কেবল সুবাস রেখে
মৃদু মৃদু স্বরে বয়ে যায় নিরুদ্বেগে;
অথবা যেসব আনক জোরালো বর্ষা
পথ ভুল করে বা কোনো অপ্রয়োজনে
একহারা পাতা আর লাল শস্যদানা
ভেঙে ভেঙে রেখে উড়ে যায় দূর বনে,
তাদের শাঁসালো ভাষা রোদ ভরা দিনে
কিংবা ভারী হাওয়ার কোনো সন্ধ্যাকালে
আর সব স্মৃতিদের ম্রিয়মাণ করে
তিলাঘুঘুদের মতো ছোট ছোট দলে
দিনভর রাতভর পায়চারি করে
নখ রাখে অবিরাম উজানের পথে—
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মতবিনিময়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনা-৫ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পিসিএস রেস্টুরেন্টের সেমিনার হলরুমে এই সভা হয়।
আরো পড়ুন:
ধানের শীষ পেলেন মাত্র ১০ নারী, মোট প্রার্থীর ৪.২২ শতাংশ
খুলনা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদন্নবী স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ওবায়দা শেখ তুহিন, সাবেক সভাপতি মীর্জা আজিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদশা, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আবুল হাশেম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে। দলের মধ্যে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ, মতবিরোধ করা চলবে না। সাধারণ মানুষের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করবে। যা সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও রাষ্ট্র উন্নয়নের কাজ করবে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
ঢাকা/শাহীন/বকুল