ইরানে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানও। মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান এ সামরিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করছে ওমান।

শনিবার (১৪ জুন) আল-জাজিরার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতের জানায়,  ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের জেরে সৃষ্ট ‘বিপজ্জনক সামরিক উত্তেজনা’ নিরসনে কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করা হচ্ছে। ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ফোনালাপ করেছেন। 

ইসরায়েলের হামলাকে “অবৈধ, অযৌক্তিক এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি” আখ্যায়িত করে তিনি টেলিফোন সংলাপগুলোতে এই আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। 

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই সংঘর্ষ কেবল একটি দেশের ওপর নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সার্বভৌম স্বার্থের ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে।”

তিনি বলেন, “রক্তপাত, ধ্বংস ও প্রাণহানি এড়াতে এই অঞ্চল ও জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”

ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে ইসরায়েলের সরাসরি ইরানি ভূখণ্ডে হামলার মাধ্যমে।

শুক্রবার ভোরে ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করেছে তেহরান। রবিবার ওমানের মাসকাটে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান জানিয়েছে, ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না তারা। যদিও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে আবারও আলোচনায় ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ