১০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে দেশের শেয়ারবাজার। কিন্তু ছুটির পর প্রথম দিনের প্রথম ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ঢাকার বাজারে প্রধান সূচকের পতন ঘটেছে। এই সময় ডিএসইএক্স সূচকের পতন হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৬৫ শতাংশ; ডিএসইএস সূচকের পতন হয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।

আজ দিনের প্রথম ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ঢাকার বাজারের তিনটি সূচকের মধ্যে কেবল ডিএস ৩০ সূচকের উত্থান হয়েছে। এ সময় সূচকটির উত্থান হয়েছে ২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ।

আজ ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে আছে লাভেলো। দিনের প্রথম ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে কোম্পানিটির ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্টার্নলুব্রিক্যান্টস; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে মোট ৫ কোটি ৬৪ লাখ শেয়ার। তৃতীয় স্থানে আছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার।

এ সময় মোট ২৭ হাজার ১৯২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট ৮৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫টি শেয়ারের; দাম কমেছে ২১২টি শেয়ারের আর অপরিবর্তিত আছে ৭৭টি শেয়ারের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রথম দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ