মাছের ঘেরের পাড়ে পড়ে ছিল কুয়েতপ্রবাসী যুবকের গলাকাটা লাশ
Published: 15th, June 2025 GMT
যশোরের অভয়নগর থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার নাউলী গ্রামের চান্দের বিলের একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
ওই যুবকের নাম এস এম হাসান (৩০)। তিনি উপজেলার নাউলী গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি কুয়েতপ্রবাসী ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
নিহত এস এম হাসানের বড় ভাই খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মুন্না হোসেন বলেন, তাঁর ভাই হাসান সাত বছর ধরে কুয়েতে ছিলেন। কুয়েতে তাঁর ব্যবসা আছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। হাসান প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত চাচাতো ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে নাউলী বাজারে আড্ডা দিতেন। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাড়ি ফেরেন। এই সময় হাসান বাড়ি ফেরেননি। রাত তিনটার দিকে একজন তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানান, হাসান রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরে বাড়ির কাছেই চান্দের বিলের একটি মাছের ঘেরের পাশে তাঁর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
মুন্না হোসেন আরও বলেন, ‘এলাকায় আমার ভাইয়ের কোনো শক্র ছিল না। কারা এবং কেন তাকে হত্যা করা হলো বুঝতে পারছি না।’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলিম বলেন, এস এম হাসানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অভয়নগরে প্রবাস ফেরত যুবককে হত্যা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলীতে প্রবাস ফেরত হাসান শেখ (৩০) নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে নাউলী গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে যুবকটির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হাসান শেখ অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসান শেখ দীর্ঘ ৮ বছর কুয়েতে প্রবাসী জীবন শেষ করে আড়াই মাস আগে দেশে ফিরেন। ২ মাস আগে বিবাহ করেন তিনি। শনিবার প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিচ্ছিলেন হাসান। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে তার হদিস পায়নি। আজ ভোরে স্থানীয়রা মাছের ঘেরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, পূর্ব শত্রুতা কিংবা পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা/রিটন/টিপু