ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদ কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
Published: 17th, June 2025 GMT
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, তারা ইসরায়েলে একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের একটি অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের আধা সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলেছে, মঙ্গলবার ভোরে এই হামলা চালানো হয় বলে এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে আইআরজিসি।
এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের শহর হার্জলিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। উপকূলীয় শহরটিতে অবস্থিত একটি ‘স্পর্শকাতর’ স্থান নিশানা করা এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ‘স্পর্শকাতর’ স্থান বলতে সাধারণত কোনো সামরিক বা কৌশলগত স্থানের ইঙ্গিত দেয়। খবর আল–জাজিরার।
আইআরজিসির বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ আরও জানায়, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিট এই কার্যকর অপারেশনটি পরিচালনা করে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপস্থিতি সত্ত্বেও, দেশটির সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ‘আমান’ এবং তেল আবিবে অবস্থিত মোসাদ সদরদপ্তরে সরাসরি আঘাত হানে আইআরজিসি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার পর মোসাদ কার্যালয়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।
১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার পর থেকে আইআরজিসি একাধিক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
আইআরজিসি জানায়, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় বিনা উসকানিতে আগ্রাসন চালিয়েছে। এসব হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং নারী ও শিশুসহ সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র আইআরজ স
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক