ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, তারা ইসরায়েলে একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের একটি অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইরানের আধা সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলেছে, মঙ্গলবার ভোরে এই হামলা চালানো হয় বলে এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে আইআরজিসি।

এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের শহর হার্জলিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। উপকূলীয় শহরটিতে অবস্থিত একটি ‘স্পর্শকাতর’ স্থান নিশানা করা এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ‘স্পর্শকাতর’ স্থান বলতে সাধারণত কোনো সামরিক বা কৌশলগত স্থানের ইঙ্গিত দেয়। খবর আল–জাজিরার।

আইআরজিসির বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ আরও জানায়, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিট এই কার্যকর অপারেশনটি পরিচালনা করে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপস্থিতি সত্ত্বেও, দেশটির সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ‘আমান’ এবং তেল আবিবে অবস্থিত মোসাদ সদরদপ্তরে সরাসরি আঘাত হানে আইআরজিসি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার পর মোসাদ কার্যালয়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।

১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার পর থেকে আইআরজিসি একাধিক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।

আইআরজিসি জানায়, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় বিনা উসকানিতে আগ্রাসন চালিয়েছে। এসব হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং নারী ও শিশুসহ সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র আইআরজ স

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ