অর্থের অভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা (ডেথ রিভিউ) করতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গেল বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১২৪ রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হলেও অর্থের অভাবে এসব মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করতে পারেনি সংস্থাটি। আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা.

আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং দেশের আরও ৮টি জেলায় ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফলাফল তুলে ধরতে সভাটির আয়োজন করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। সভায় গেল বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত পরিচালিত জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ‘আমি আসার পর ডেথ রিভিউ শুরু করেছিলাম। গত বছর যাঁরা মারা গেছেন, তার মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ১২৪টা রোগীর ফাইল নিয়ে একটা কমিটি করেছিলাম। কমিটি করে আমরা অনেকগুলো মিটিং করে মোটামুটি একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছিলাম যে কী কী কারণে মৃত্যু হচ্ছে, তো আর আমি আগাইতে পারি নাই। কারণ বুঝতে পারছেন, আমাকে যদি ৮-১০ জন লোকের একটা মিটিং করতে হয়, সেটা নিজের পকেট থেকে দিয়ে খুব বেশি কন্টিনিউ করা যায় না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আরও বলেন, প্রতিটি হাসপাতালের নিজস্ব কমিটি ডেথ রিভিউ করে। তিন বছর ধরে ডেথ রিভিউ হচ্ছে না। তবে মৃত রোগীদের মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এর জন্য আলাদা কমিটি করা দরকার বলেও জানান তিনি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং দেশের আরও ৮টি জেলায় ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপ সম্পন্ন করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন ছাড়াও জরিপের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং কুষ্টিয়া, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ ও মাগুরা পৌরসভা এলাকায়।

মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। যদি এর পরিমাণ ২০ বা এর বেশি হয়, তবে সেখানে ঘনত্ব আশঙ্কাজনক বলে বিবেচনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা ২০–এর বেশি ছিল। এর মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ; ২, ৮ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ১৩ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ।

পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৩১ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ; ৩, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ৪ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম; মার্চে বরিশাল এবং বাকি এলাকাগুলোতে জরিপ পরিচালিত হয়েছে মে মাসে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত জরিপে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ফুলের টব ও ট্রেতে জমে থাকা পানিতে। জরিপে পাওয়া মোট লার্ভার ২৭ শতাংশই বসবাস করে এসব পানিতে। এ ছাড়া ২২ শতাংশ সিমেন্ট নির্মিত পানির ট্যাংকে, ২০ শতাংশ ফ্লোরে জমে থাকা পানিতে, ১৩ শতাংশ প্লাস্টিকের ড্রামে, ১১ শতাংশ লোহার পাইপে, ১০ শতাংশ প্লাস্টিকের পাত্রে এডিসের লার্ভা পেয়েছেন গবেষকেরা।

জেলা পর্যায়ে পাওয়া ফলাফলে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায়। ২৭০টি বাসাবাড়ির ১৬২টিতেই লার্ভার উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকেরা। এরপর মাগুরায় ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, পিরোজপুরে ২০ শতাংশ এবং পটুয়াখালীতে ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ এলাকায় মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। বাকি এলাকাগুলোতে মশার লার্ভা পাওয়া গেলেও তা তুলনামূলক কম।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে বহুতল ভবনে এবং বাকি এলাকাগুলোর একক বাসভবনের সব কটিতেই ৬০ শতাংশের বেশি মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গবেষণার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত এলাকাগুলোর ৩ হাজার ১৪৭টি বাসা বা বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কীটতাত্ত্বিক দল। এর মধ্যে মোট ৪৬৩টি বাসা বা বাড়িতে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ডেঙ্গু পজিটিভ ৪৬৩টি বাসা বা বাড়ির মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বহুতল (১২৬টি), নির্মাণাধীন ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ (৪২টি), একক স্থান ৯ দশমিক ৮ শতাংশ (২১টি), সেমি পাকা ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ (১৯টি) এবং খালি প্লট ২ দশমিক ৮ শতাংশ (৬টি) বলে উঠে এসেছে জরিপের ফলাফলে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রধান বাহক এডিস অ্যাজিপ্টাই মশা এবং ঢাকার বাইরে এডিস অ্যালবোপিক্টাস নামক মশা এটি বেশি বহন করে।

সভায় জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন। সংকট সমাধানে জরিপের সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বহুতল ও নির্মাণাধীন বাড়ির সমস্যা সমাধানের জন্য, রিহ্যাব ও ফ্ল্যাটমালিকদের সমিতির মাধ্যমে কাজ করা দরকার। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, যুবগোষ্ঠী ও অন্য অংশীদারদের নিয়ে দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করার মতো কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর বলেন, ‘এ সমস্যার সমাধান করা একটি সমন্বিত কাজ। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। গণসচেতনতা অনেক বেশি দরকার। বরগুনায় হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহার আমাদের দেশে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক গ ল দশম ক ৮ র জন য বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

‘বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার বড় সংকটের ইঙ্গিত’

দক্ষিণের জেলা বরগুনায় চলতি বছর ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার ভাবাচ্ছে জনস্বাস্থ্যবিদ, চিকিৎসক, গবেষক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ব্যক্তিদের। এই জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার এবার এত কেন, তা জানতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একদল গবেষক গত রোববার সেখানে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এর প্রায় অর্ধেক বা তার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বরিশাল বিভাগে। বরগুনা এ বিভাগেরই একটি জেলা।
এই বিভাগের আবার অর্ধেক বা তার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বরগুনায়।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৩ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন। আর বরগুনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫।

বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার নিছক সংখ্যার আধিক্যের বিষয় নয় বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদ বে-নজীর আহমেদ। তিনি গতকাল বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের কৌশলগত লড়াইয়ের সীমাবদ্ধতার দিকটিও তুলে ধরছে বরগুনার বর্তমান পরিস্থিতি। আমরা অনেক আগে থেকেই বলছিলাম, ডেঙ্গু শুধু ঢাকার নয়, এর বিস্তার ঘটতে পারে সারা দেশে। এখন তা–ই ঘটছে। বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।’

কেমন হতে পারে সেই বড় সংকট? উত্তরে বে-নজীর আহমদ বলেন, রাজধানীতে সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, বড় বড় হাসপাতাল, আইইডিসিআরের উপস্থিতি আছে। এডিস নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতার পরও দুই সিটির কর্মীদের এডিস নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা বা কারিগরি জ্ঞানও আছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে এমন অবস্থা কোথাও নেই। বরগুনার মতো অঞ্চলে তো নেই-ই। এভাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।

এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এর মধ্যে বরগুনাতেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বরিশাল বিভাগে মৃত্যু আটজনের। ডেঙ্গুতে দেশের এক–পঞ্চমাংশ মৃত্যু হচ্ছে একটি জেলায়, বরগুনায়।

এ জেলায় ডেঙ্গুর এত বিস্তার কেন, তা জানতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নতুন কোনো সেরোটাইপ সক্রিয় কি না, সেটা জানা খুব জরুরি বলে মনে করেন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সরকারের কি তেমন কোনো তৎপরতা আছে? আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমস্যা হলো, আমরা মূলত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের নমুনা পাই। আর তার ওপর ভিত্তি করেই কাজ করি। বরগুনা বা অন্য অঞ্চলে নতুন কোনো সেরোটাইপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে কি না, তা জানার প্রক্রিয়া আসলে আমাদের নেই।’

ডেঙ্গুর চারটি ধরন বা সেরোটাইপ আছে। এর মধ্যে গত বছর পর্যন্ত সেরোটাইপ-২ প্রাধান্যশীল ছিল। কোনো বছরে কোনো সেরোটাইপ প্রাধান্যশীল থাকলে পরের বছরে নতুন কোনো সেরোটাইপ সেই স্থান না নিলে রোগের বিস্তার সাধারণত হয় না। কিন্তু নতুন সেরোটাইপ এলে রোগীর বিস্তার যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে মৃত্যুর আশঙ্কা।

দেশে গত বছরের শেষ দিকে প্রাধান্যশীল সেরোটাইপ-২–এর পাশাপাশি ৪–এর বিস্তারও লক্ষ করা গেছে। বরগুনায় নতুন কোনো সেরোটাইপ আছে কি না, তার উত্তর সরকারের কাছে নেই।

বরগুনার সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার। ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০টি শয্যা কেবল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০। আর ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুব প্রয়োজনীয় স্যালাইনের সংকটের কথা স্বীকার করেন জেলার সিভিল সার্জন মো. আবু ফাত্তাহ।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, স্যালাইনসংকটে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় দুটি বেসরকারি সংগঠন। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে ছয়জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। ওই কার্যালয়ের এক চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও ডাবের খোসাসহ পানি ধরে রাখতে পারে এমন নানা কনটেইনার যত্রতত্র হাসপাতালের পাশেই ফেলছে মানুষজন। শহরের অন্যত্রও ময়লা–আবর্জনার কমতি নেই।

সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অপরিহার্য। কিন্তু পৌরসভাসহ নানা স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এখন জনপ্রতিনিধিশূন্য। এ পরিস্থিতি সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে শঙ্কা বে-নজীর আহমদের। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর দেশময় বিস্তার ঘটছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে পুরো বাংলাদেশ একে মোকাবিলায় অপ্রস্তুত। ভয়ানক পরিস্থিতি সামনে আছে বলেই মনে হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর ৫৯ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা
  • রাজধানীর ৫৯ শতাংশ ভবনে এডিস মশার লার্ভা
  • বরগুনায় ডেঙ্গু এত বৃদ্ধির পেছনে ‘ভিন্ন’ একটি কারণ, কী সেটা
  • ‘বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার বড় সংকটের ইঙ্গিত’