ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত তাদের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, ইরানি জাতি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ও চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারও কাছে আত্মসমপর্ণ করবে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাঁর এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। খবর-বিবিসি

খামেনি নিজে এই বক্তব্য দেননি। তাঁর পক্ষ থেকে টেলিভিশনটির উপস্থাপক নিজে এটি পড়ে শোনান। ওই বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনও এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।’

তিনি বলেন, ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটেছে যখন ইরানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ছিল এবং ইরানের দিক থেকে কোনো সামরিক বা কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত ছিল না।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেন, ‘অবশ্যই, শুরু থেকেই এটা সন্দেহ করা হতো যে জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) সরকারের যে কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ছিল এবং আমেরিকার কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোতে এই সন্দেহই দিন দিন জোরালো হচ্ছিল। ইহুদীবাদী শত্রুকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইরান জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে তারা তা পাচ্ছে।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির অবস্থান তাদের জানা। তবে তাঁকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা অন্তত এখন তাদের নেই। 

ট্রাম্পের এই পোস্টের পরপরই ইরানের রেভ্যলুউশনারি গার্ড টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে লিখেছে, ‘আমেরিকান মিথ্যাবাদী প্রেসিডেন্টের জানা উচিত যে, ইরান সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি। এটা শুধু আমেরিকার স্বার্থকে নয়, বরং পশ্চিমা সব স্বার্থকে পুড়িয়ে দেবে।’

আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, ‘আমেরিকানরা এবং যারা এই অঞ্চলের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত তারা জানে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে তাদের ক্ষতির কারণ হবে। তাদের বড় ধরনের আঘাত সইতে হবে। এই আঘাত ইরানের দিকে আসতে এমন কোনো ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ