যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হস্তক্ষেপ অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে: খামেনি
Published: 18th, June 2025 GMT
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত তাদের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, ইরানি জাতি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ও চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারও কাছে আত্মসমপর্ণ করবে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাঁর এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। খবর-বিবিসি
খামেনি নিজে এই বক্তব্য দেননি। তাঁর পক্ষ থেকে টেলিভিশনটির উপস্থাপক নিজে এটি পড়ে শোনান। ওই বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনও এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।’
তিনি বলেন, ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটেছে যখন ইরানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ছিল এবং ইরানের দিক থেকে কোনো সামরিক বা কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত ছিল না।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেন, ‘অবশ্যই, শুরু থেকেই এটা সন্দেহ করা হতো যে জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) সরকারের যে কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ছিল এবং আমেরিকার কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোতে এই সন্দেহই দিন দিন জোরালো হচ্ছিল। ইহুদীবাদী শত্রুকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইরান জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে তারা তা পাচ্ছে।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির অবস্থান তাদের জানা। তবে তাঁকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা অন্তত এখন তাদের নেই।
ট্রাম্পের এই পোস্টের পরপরই ইরানের রেভ্যলুউশনারি গার্ড টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে লিখেছে, ‘আমেরিকান মিথ্যাবাদী প্রেসিডেন্টের জানা উচিত যে, ইরান সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি। এটা শুধু আমেরিকার স্বার্থকে নয়, বরং পশ্চিমা সব স্বার্থকে পুড়িয়ে দেবে।’
আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, ‘আমেরিকানরা এবং যারা এই অঞ্চলের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত তারা জানে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে তাদের ক্ষতির কারণ হবে। তাদের বড় ধরনের আঘাত সইতে হবে। এই আঘাত ইরানের দিকে আসতে এমন কোনো ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে বেহাল সড়ক, ভোগান্তি
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা এখন দুর্ভোগের আরেক নাম। এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কেই চলছে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি। কিছু সড়ক আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ, কোথাও বিশাল খননযন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে আর কোথাও ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলেও পিচঢালাই নেই। ফলে বাসিন্দা ও পথচারীদের জন্য চলাচল হয়ে উঠেছে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গেছে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের আওতায় সড়কে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে ধীরগতির কাজ ও বারবার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কষ্টে আছেন এলাকাবাসী। এ আবাসিক এলাকায় বিদ্যালয়, সরকারি অফিস ও হাসপাতাল রয়েছে। বর্তমানে এ এলাকায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বসবাস ও যাতায়াত করেন।
বড় গর্ত নেই, এটি সত্য। তবে ভাঙা আছে অনেক স্থানে। পিচঢালাই না থাকায় যান চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, তাঁরা কোমর ও পিঠের সমস্যায় ভুগছেন। রিকশাচালকেরাও এলাকায় আসতে বাড়তি ভাড়া চান।মো. আলাউদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসিক এলাকাটির সব সড়কই খানাখন্দে ভরা। ওয়াসার প্রকল্পের কাজের জন্য অন্তত তিনটি সড়ক পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি সড়কের একাংশ বন্ধ। আবাসিক এলাকায় প্রবেশের সড়কও বেহাল।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের দিকে এ এলাকায় পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে ওয়াসা। এর আগেও এখানে প্রায়ই পানি উঠত। তবে সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির পর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়তি দুর্ভোগ। পানি কম উঠলেও ভাঙা রাস্তায় চলা মুশকিল। দূর থেকে শিক্ষার্থীদেরও হেঁটে আসতে হয়। বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে আসতে সময় বেশি লাগে।
২০১৮ সালে ‘চট্টগ্রাম মহানগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা স্থাপন’ শীর্ষক প্রথম প্রকল্প অনুমোদন পায় একনেক সভায়। এরপর আরও পাঁচটি প্রকল্প নিয়েছে ওয়াসা। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুরো শহরকে ছয়টি অঞ্চল বা ক্যাচমেন্টে ভাগ করেছে সংস্থাটি। ক্যাচমেন্টগুলো হলো হালিশহর, কালুরঘাট, ফতেয়াবাদ, পূর্ব বাকলিয়া, উত্তর কাট্টলি ও পতেঙ্গা। এর মধ্যে হালিশহর ক্যাচমেন্টের আওতায় আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা।
সড়কের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে চলছে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা