ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, দেশটা (ভারত) কে চালাচ্ছে? আমি জানি না। এই কে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি অমিত শাহ? মোদিজি তো বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান। আর সব ছেড়ে দিয়েছেন অমিত শাহের হাতে। তাহলে ওনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিলেই হয়। উনিই তো (অমিত শাহ) বকলমে দেশ চালাচ্ছেন।

বুধবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন কর্মসূচির বিরোধিতা করে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতে জরুরি অবস্থার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয়) ৫০ বছর উপলক্ষে আগামী ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছে একটি চিঠিও এসেছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছে সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারই তীব্র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের কোনো দিবস পশ্চিমবঙ্গ সরকার পালন করবে না। এতে আমরা আপত্তি আছে। 

মমতার অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের নেতারা যা বলছেন, উনি তাই করছেন, কোনো সিস্টেম মানছেন না। সব সিস্টেম ভেঙে দিয়েছেন। ওরা মানুষের ইজ্জত নিয়ে খেলছে। আর এখন সংবিধান হত্যা দিবস পালন করবে। 

তিনি বলেন, ওরা ওদের মতো ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করুক। আমরা সেটা পালন করছি না। ওরা (বিজেপি) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না, গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা, সামাজিক অধিকার, বিরোধীদের অধিকারকে বিশ্বাস করে না। তারা একটার পর একটা জিনিস বদলে দিয়েছে। এক দেশ এক নির্বাচনের কথা বলছে, কোথাও রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিল আনা হচ্ছে, কখনো নোট বদলের বিল আনা হচ্ছে, কখনো রাজ্যপালদের রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাই শুধু একটি দিনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার তাদের কোনো অধিকারই নেই। আমাদের প্রতিদিনই সেটা পালন করতে হবে। 

এই ইস্যুতে ‘বাংলা দিবস’ পালন এবং বাংলার নামকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইঙ্গিত করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, আগামী ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে ‘বাংলা দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত দুই বছর ধরে ১ বৈশাখ বাংলা দিবস হিসেবে পালন করছি। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে নাতো আপনারা করবেন? বিজেপির ইচ্ছামতো চাপিয়ে দেওয়া জিনিস কেন মানা হবে? আমরা মনে করি এটা বাংলাকে অসম্মান করা, অপমান করা। তারা ঠিক করবে যে বাংলা কী খাবে, কী পড়বে? এমনকি বাংলার নামটা নিয়েও আলফাবেটিক্যালি আমাদের সবার শেষে পড়ে থাকতে হয়। যদি মুম্বাই নাম পরিবর্তনে হতে পারে, যদি ওড়িশা নাম পরিবর্তন হতে পারে, তবে বাংলা নয় কেন? আমরা তিনবার বিল আমেন্ডমেন্ট করে পাঠিয়েছি। তাহলে ‘বাংলা’র নামটা দিতে আপত্তি কোথায়? 

তিনি আরও বলেন, আমরা তো বাংলাদেশ চাইনি, বাংলাদেশ আলাদা একটা রাষ্ট্র। তারা তাদের মতো স্বাধীন দেশ। কিন্তু ভারতের মধ্যে ‘বাংলা’ রাজ্য পড়ে। পাকিস্তানের যদি পাঞ্জাব থাকতে পারে, তবে গোটা ভারতে কি ‘বাংলা’ নামে একটা রাজ্য থাকতে পারে না? 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ধ ন হত য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিএসই-৫০ সূচক সমন্বয়, কার্যকর ১১ নভেম্বর

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসই-৫০ সূচক সমন্বয় করা হয়েছে। সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এ সূচক সমন্বয় করা হয়।

সমন্বিত সূচকে তিনটি কোম্পানি নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। আর বাদ পড়েছে তিনটি কোম্পানি। সমন্বয় পরবর্তী সূচক আগামী ১১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরীক্ষামূলক চালু ডিসেম্বরে, নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষা

সোমবার (৩ নভেম্বর) সিএসই থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য মতে, সিএসই-৫০ সূচকে নতুন করে যুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি।

আর ওই সূচক থেকে বাদ যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

উল্লেখ, সিএসই-৫০ ইনডেক্স এ অর্ন্তভুক্ত কোম্পানিগুলোর মূলধন বাজারের মোট নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর মূলধনের শতকরা প্রায় ৭২.৭৪ ভাগ, ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধন সব নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধনের শতকরা ৭০.৯৮ ভাগ এবং সব নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর বিগত ছয় মাসের (৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত) অ্যাভারেজ ডেইলি টার্নওভার ৪৯.১২ ভাগ।

ঢাকা/এনটি/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ