থানা থেকে লুটের অস্ত্র দিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করতেন সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড’ মাসুম। তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। তার কাছ থেকে একটি একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। পিস্তলটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান মাসুম (২৮) নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া জুম্মা সওদাগর বাড়ির মো.

আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুঁইয়া জানান, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে মাসুম। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরোনো মামলাও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন হত্যা মামলায় আমু, আনিসুল, রাজ্জাকসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

নতুন হত্যা মামলায় সবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর পাঁচজন হলেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল হক, সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

এর আগে কারাগার থেকে আনিসুলদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। পরে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে হাজতখানা থেকে আদালতকক্ষে নেওয়া হয় হয়। পরে আনিসুল হক, আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সায়েদুল হক ও মনিরুলকে হককে যাত্রাবাড়ী থানায় করা পৃথক পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ভাটারা থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ অন্যরা। পরে তাঁদের রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

প্রত্যেকের একাধিকবার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
  • নতুন হত্যা মামলায় আমু, আনিসুল, রাজ্জাকসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো