থানা লুটের অস্ত্রে ছিনতাই করতেন ‘ব্লেড’ মাসুম: পুলিশ
Published: 19th, June 2025 GMT
থানা থেকে লুটের অস্ত্র দিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করতেন সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড’ মাসুম। তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। তার কাছ থেকে একটি একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। পিস্তলটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান মাসুম (২৮) নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া জুম্মা সওদাগর বাড়ির মো.
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুঁইয়া জানান, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে মাসুম। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরোনো মামলাও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪ মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের সময় রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাতপরিচয় ১১৪টি মরদেহ দাফন করা হয়েছিল রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এই শহীদদের পরিচয় জানার জন্য তাঁদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। এ জন্য লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এসিএমএম) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১১৪ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে। তাঁদের পরিচয় জানা এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, বেওয়ারিশ লাশগুলো জুলাই-আগস্টে দাফন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, যারা নাম-পরিচয় না জানা মরদেহ দাফন করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রায়েরবাজার কবরস্থানে তারা জুলাইয়ে ৮০ জনের ও আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল।