সীতাকুণ্ডের ঝরনায় দুর্ঘটনা এড়াতে নানা উদ্যোগ
Published: 22nd, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা বন বিভাগের অধীন থাকা ইজারা দেওয়া চারটি ঝরনায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ব্যবস্থার মধ্যে আছে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁশ দিয়ে বেড়া, সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড, মাইকিং ও নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো।
বন বিভাগের বারৈয়াঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিটি ঝরনায় ইউনিফর্ম পরা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে হ্যান্ডমাইক ও ওয়াকিটকি।
১৪ জুন বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগাহাট এলাকায় সহস্রধারা-২ ঝরনায় গোসলে নেমে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এর পরদিন ওই ঝরনা থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে থাকা সীতাকুণ্ড মিরসরাই সীমানায় থাকা রূপসী ঝরনায় আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ঝরনা দুটি বারৈয়ারঢালা বন বিভাগের অধীন।
এরপর অভিযোগ ওঠে ঝরনাগুলোতে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গত বছর সহস্রধারা-২ ঝরনায় এক পর্যটক মারা যাওয়ার পর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় একাধিক পরামর্শ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সাঁতার না জানা দর্শনার্থীদের পানিতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। বিপজ্জনক স্থানগুলো চিহ্নিত করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সহস্রধারা-২ ঝরনার পাড়ে থাকা কর্মী জয়নাল আবেদীন হ্যান্ডমাইকে বলছিলেন, এই লেক অত্যন্ত গভীর। পানি ঠান্ডা। লেকে নামা কিংবা সাঁতার কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লেকে নামলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
ঝরনায় একেবারে কাছে কথা হয় পর্যটক বিথী ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। সে জন্য ইজারাদারের লোকজন তাঁদের দ্রুত ঝরনা এলাকা ছাড়তে তাগাদা দিচ্ছেন। এটা একটা ভালো দিক। যাঁরা ঝরনাপ্রেমী, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে ঝরনায় থাকলেও তাঁদের যেন তৃপ্তি মেটে না। ফলে কখন সময় চলে যায়, তা তাঁদের মনে থাকে না। এখন ইজারাদারের লোক সেই দিকটা খেয়াল রাখছেন।
পর্যটকদের হ্রদে না নামার জন্য মাইকিং করছে ইউনিফর্ম পড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঝরন য়
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় ভ্রমণকালে পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২১ জুন) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে ১৩টি করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা সংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়।
পর্যটকদের বর্জনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা/শোনা যাবে না, হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না, মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না, ডিটারজেন্ট/শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না, গাছ কাটা/ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না, কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না, মনুষ্য সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
আরো পড়ুন:
প্রকৃতির আলোয় সিলেটের ‘বনলতা’
ঈদের তৃতীয় দিন কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর
পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে, লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে, প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে, দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে হবে—ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে, স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ এবং ক্যাম্প ফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘‘পর্যটকদের বর্জনীয় ও আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনাগুলো লিফলেট আকারে প্রতিটি নৌকায় সাঁটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নির্দেশনাগুলো সাইনবোর্ড আকারে টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব