চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধান চায় ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনকে এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার কিংডাওতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে সিং চীনের ডং জুনের সাথে দেখা করেন এবং একটি কাঠামোগত রোডম্যাপের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেন। 

এতে বলা হয়েছে, “সিং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে সীমান্ত সীমানা নির্ধারণের স্থায়ী সমাধানের উপরও জোর দেন।”

অতীতে ভারত সাধারণত বিরোধের দ্রুত সমাধান চাওয়ার মতো বাক্যাংশ ব্যবহার করতো। তাই নতুন করে স্থায়ী সমাধানের উপর নয়াদিল্লিরে এই জোর দেওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বেইজিং জানিয়েছে, সীমান্ত বিরোধ বৃহত্তর সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না এবং সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত পার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করা উচিত।

এই বৈঠক সম্পর্কে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বিবৃতি এনো আসেনি এবং ভারতের বিবৃতি সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিশ্বের দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ-যারা উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর - হিমালয় পর্বতমালায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার অনির্ধারিত এবং বিতর্কিত সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে এবং এটি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সীমান্তটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ২০২০ সালে তাদের সেনাদের মধ্যে এক মারাত্মক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং চারজন চীনা সেনা নিহত হয়। এই সংঘর্ষের ফলে চার বছরের সামরিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় এবং উভয় সেনাবাহিনী পাহাড়ে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে। গত বছরের অক্টোবরে পিছু হটার জন্য দুই দেশটি একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ