চুলার আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ, দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন
Published: 2nd, July 2025 GMT
রাজধানীর ভাটারার পূর্ব নূরেরচালা এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় আগুন লেগে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্নার চুলা থেকে আগুন লাগে বলে স্বজনেরা জানান। ওই চুলায় গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন হালিম শেখ (৫০), তাঁর স্ত্রী শিউলি বেগম (৪৫), এই দম্পতির ছেলে হানিফ শেখ (২৪) এবং শিউলির বোন রহিমা বেগম (৫০)। তাঁদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, হালিম শেখের শরীরের ৩৩ শতাংশ এবং তাঁর ছেলে হানিফ শেখের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিউলি বেগমের শরীরের ১ শতাংশ এবং রহিমা বেগমের শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
হালিম শেখের ভাগনে সাগর আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে হানিফ শেখ রান্নাঘরে ডিম ভাজতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ চুলা থেকে তাঁর লুঙ্গিতে আগুন লেগে যায়। এ সময় চিৎকার শুনে অন্যরা রান্নাঘরে গেলে তাঁরাও দগ্ধ হন। হালিম শেখ পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ছেলে হানিফ শেখ কেব্ল অপারেটর (ডিশ লাইন) প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক