চলতি বছর কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা ও পরবর্তী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জেরে ভারত সরকার যেসব পাকিস্তানি অভিনেতা ও বিনোদনমাধ্যমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেল ভারতীয় দর্শকদের জন্য ব্লক করে দিয়েছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই শিথিল করা হয়েছে। খবর ফিল্মফেয়ারের

নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অনেক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এখন ভারতে দৃশ্যমান হচ্ছে। মাওরা হোসেন, সাবা কামার, আহাদ রেজা মীর, দানানির মোবিন, ইয়ুমনা জাইদি ও দানিশ তায়মুরের মতো পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এখন ভারতের ব্যবহারকারীরা দেখতে পাচ্ছেন।

তবে মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, আতিফ আসলাম, হানিয়া আমিরসহ আরও অনেক তারকার অ্যাকাউন্ট এখনো ভারতের ভিউয়ারদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে এখনো ‘ভারতে এই অ্যাকাউন্ট দেখা যাচ্ছে না’ বার্তা ভেসে উঠছে। ইনস্টাগ্রাম বলেছে, ‘আমরা একটি আইনি অনুরোধের ভিত্তিতে এই কনটেন্ট সীমিত করেছি।’

মাওরা হোসেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম অ য ক উন ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ