Prothomalo:
2025-09-18@04:53:26 GMT

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন কবে

Published: 5th, July 2025 GMT

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন, তাঁর আগমন ঘিরে দলীয়ভাবে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে—কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনা বা গুঞ্জন চলছে। যদিও তারেক রহমান ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরছেন, সে বিষয়ে ঢাকায় বিএনপির নেতারা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে তাঁরা বলছেন, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি সম্ভাবনা আছে। তবে সেটিও চূড়ান্ত কিছু নয়।

যদিও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর তাঁর নিরাপত্তা, বাসভবন, রাজনৈতিক কার্যালয়সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ধরনের প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়।

এ বিষয়ে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, তাঁরা দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে দেশের মাটিতে গণ-অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু তিনি এখনই ফিরবেন কি না, সে বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। এ ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ নানা দিক বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। তাই কোন সময় দেশে ফিরলে বিএনপির রাজনৈতিক অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনটা উজ্জ্বল হয়, সেটি দেখা হচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি সম্ভাবনা আছে। তবে সেটিও চূড়ান্ত কিছু নয়।

জুলাই-আগস্টের মধ্যে তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি জোরালো আলোচনা আছে। এর কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে বিএনপি ৩৬ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের বর্ষপূতিতে ঢাকায় বড় সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে বিএনপির। ওই সমাবেশে তারেক রহমান উপস্থিত থাকতে পারেন; নেতা-কর্মীদের মধ্যে এমন আলোচনা রয়েছে। তবে ঢাকায় দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। সেদিন বিমানবন্দরসহ রাজধানীতে বৃহত্তম জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। সে ক্ষেত্রে চলতি জুলাই বা আগস্টে তাঁর ফেরার বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে বর্ষা। আষাঢ় ও শ্রাবণ—এই দুই মাস বর্ষাকাল। আজ শনিবার, ৫ জুলাই ২১ আষাঢ়, এরপর শ্রাবণ মাস। এর ফলে বর্ষায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিমানবন্দরসহ ঢাকায় বিএনপির যে বড় জনসমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর ফলে জুলাই-আগস্টে তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে দলের কেউ কেউ মনে করছেন।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় দেখেন। তাঁর মতে, একটি ফেরা হতে পারে রাজসিকভাবে লালগালিচায়। সেটি হতে পারে নির্বাচনে জয়ী হয়ে অথবা সরকার গঠনের আগে-পরে। আরেকটি হতে পারে, নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে বিশেষ প্রয়োজনে।

এমতাবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় নিয়ে আরও কয়েকটি আলোচনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর একটি হতে পারে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগে অথবা তফসিল ঘোষণার পরপর। এ সময়ে দেশে ফিরে তিনি দলের পক্ষে একটি জোয়ার সৃষ্টি করে নির্বাচনে ভালো ফল আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে ১৩ জুন লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বৈঠক হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র দ শ র জন ত ক প রস ত ত ব এনপ র সরক র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ