Prothomalo:
2025-07-05@09:45:18 GMT

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন কবে

Published: 5th, July 2025 GMT

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন, তাঁর আগমন ঘিরে দলীয়ভাবে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে—কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনা বা গুঞ্জন চলছে। যদিও তারেক রহমান ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরছেন, সে বিষয়ে ঢাকায় বিএনপির নেতারা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে তাঁরা বলছেন, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি সম্ভাবনা আছে। তবে সেটিও চূড়ান্ত কিছু নয়।

যদিও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর তাঁর নিরাপত্তা, বাসভবন, রাজনৈতিক কার্যালয়সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ধরনের প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়।

এ বিষয়ে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, তাঁরা দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে দেশের মাটিতে গণ-অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু তিনি এখনই ফিরবেন কি না, সে বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। এ ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ নানা দিক বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। তাই কোন সময় দেশে ফিরলে বিএনপির রাজনৈতিক অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনটা উজ্জ্বল হয়, সেটি দেখা হচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি সম্ভাবনা আছে। তবে সেটিও চূড়ান্ত কিছু নয়।

জুলাই-আগস্টের মধ্যে তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি জোরালো আলোচনা আছে। এর কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে বিএনপি ৩৬ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের বর্ষপূতিতে ঢাকায় বড় সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে বিএনপির। ওই সমাবেশে তারেক রহমান উপস্থিত থাকতে পারেন; নেতা-কর্মীদের মধ্যে এমন আলোচনা রয়েছে। তবে ঢাকায় দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। সেদিন বিমানবন্দরসহ রাজধানীতে বৃহত্তম জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। সে ক্ষেত্রে চলতি জুলাই বা আগস্টে তাঁর ফেরার বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে বর্ষা। আষাঢ় ও শ্রাবণ—এই দুই মাস বর্ষাকাল। আজ শনিবার, ৫ জুলাই ২১ আষাঢ়, এরপর শ্রাবণ মাস। এর ফলে বর্ষায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিমানবন্দরসহ ঢাকায় বিএনপির যে বড় জনসমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর ফলে জুলাই-আগস্টে তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে দলের কেউ কেউ মনে করছেন।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় দেখেন। তাঁর মতে, একটি ফেরা হতে পারে রাজসিকভাবে লালগালিচায়। সেটি হতে পারে নির্বাচনে জয়ী হয়ে অথবা সরকার গঠনের আগে-পরে। আরেকটি হতে পারে, নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে বিশেষ প্রয়োজনে।

এমতাবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় নিয়ে আরও কয়েকটি আলোচনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর একটি হতে পারে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগে অথবা তফসিল ঘোষণার পরপর। এ সময়ে দেশে ফিরে তিনি দলের পক্ষে একটি জোয়ার সৃষ্টি করে নির্বাচনে ভালো ফল আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে ১৩ জুন লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বৈঠক হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র দ শ র জন ত ক প রস ত ত ব এনপ র সরক র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন

পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।

বিজিবি জানায়, সকালে খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশইন করে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির শিংরোড বিওপি সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকদের মধ্যে চারজন জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে।

একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে নারী, শিশুসহ ৫ জনকে পুশইন করে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে। আটকদের সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

আটককৃতরা খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তের আটক ৫ জনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, বিজিপি পক্ষ থেকে সীমান্তে পুশইন হওয়া ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিক কিনা, এ বিষয়ে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী, শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ