বিএনপির ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে ভোটের অনুপাতে (পিআর) সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল। আনুপাতিক নির্বাচন না চাইলেও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিও এ দাবিতে সমর্থন দিচ্ছে। ভোটের অনুপাতে প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাবে বিএনপিকে রাজি করাতেই এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে। 

সংস্কারের চলমান সংলাপে দরকষাকষির কৌশল হিসেবে সংসদের নিম্নকক্ষে প্রচলিত আসনভিত্তিক নির্বাচনের পরিবর্তে পিআর পদ্ধতির দাবি তুলেছে তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব বিএনপি মেনে নিলে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য দলগুলো নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসবে। আনুপাতিক উচ্চকক্ষ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি না হওয়া কিংবা নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে দলগুলোর। 

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে। এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল রাজি হয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০ করা হবে। উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের। ৪০০ আসনের নিম্নকক্ষে বিদ্যমান ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (এফপিটিপি) পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটে লড়বেন। যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনি জয়ী হবেন। নিম্নকক্ষের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যত শতাংশ ভোট পাবে, উচ্চকক্ষেও ততগুলো আসন পাবে। অর্থাৎ, কোনো দল নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট পেলে, উচ্চকক্ষে ১০টি আসন পাবে। 

জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল এই প্রস্তাবে রাজি। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি। দলটি চায়, বর্তমানে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে নির্ধারণ হয়, উচ্চকক্ষের আসনও সেভাবে বণ্টন করা হবে। 

ঐকমত্য কমিশন এবং অন্যান্য দল মনে করে, বিএনপির প্রস্তাব মানলে সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। সরকারি দল যাতে চাইলেই সংবিধান বদল করতে না পারে, তার জন্য আনুপাতিক উচ্চকক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ সমকালকে বলেছেন, উচ্চকক্ষের আসনবিন্যাস নিম্নকক্ষের অনুরূপ হলে দ্বিকক্ষের সংসদ অর্থহীন হয়ে যায়। 

কেন আনুপাতিক উচ্চকক্ষ চায় দলগুলো
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আসন পায় ২৩২টি। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলটি ২০১১ সালে সংবিধানের বড় রদবদল করে। বাদ দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। 

ভোটের অনুপাতে প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ থাকলে ৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়া আওয়ামী লীগ সেখানে বড়জোর ৫০টি আসন পেত। তখন সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের বাধ্যবাধকতার কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে একা পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা সম্ভব হতো না। বিরোধী দল বিএনপির সমর্থন প্রয়োজন হতো। 

ক্ষমতাসীন দল যেন এককভাবে সংবিধান পাল্টে ফেলতে না পারে, সে জন্যই জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০ দলের মধ্যে ২২টি আনুপাতিক উচ্চকক্ষ চাচ্ছে। বিএনপিসহ পাঁচটি দল এটা চায় না। 

বিএনপি মনে করে, নির্বাচনে কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলে উচ্চকক্ষেও তার আসন হবে দুই-তৃতীয়াংশ। তারা মনে করে, আগের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সরকারি দলের হাতে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকা উচিত। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের পথ এভাবে (ভোটের অনুপাতে আসন) বন্ধ করা উচিত না। এতে রাষ্ট্রের জন্য জরুরি সংশোধনী আনা দুরূহ হবে। 

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা.

সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে বলেছেন, সরকারি এবং বিরোধী দল একমত হয়ে সংবিধানের একাদশ এবং দ্বাদশ সংশোধনী পাস করেছে। ভবিষ্যতে দেশ ও জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন হলে সরকারি ও বিরোধী দল মিলে তা করতে পারবে। শেখ হাসিনা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে স্বৈরাচার হয়েছিলেন। কাটাছেঁড়ার পথটা বন্ধ করতে হবে। 

বর্তমান এফপিটিপি পদ্ধতিতে ছোট দলগুলো ভোট পেলেও সংসদে আসন পায় না। যেমন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে সারাদেশে ১ শতাংশ ভোট পেলেও কোনো আসনে জয়ী হয়নি ইসলামী আন্দোলন। কিন্তু উচ্চকক্ষ থাকলে দলটি ১ শতাংশ ভোটের জন্য একটি আসন পেত। ওই নির্বাচনে বিএনপি ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে মাত্র ৩০টি সংসদীয় আসন পেয়েছিল। ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ হলে তারা উচ্চকক্ষে ৩২টি আসন পেত।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াত প্রায় পৌনে ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু আসন পেয়েছিল মাত্র তিনটি। ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ হলে সেখানে জামায়াত পেত ৮ বা ৯টি আসন। এ কারণে জামায়াত, এনসিপিসহ প্রায় সব দল আনুপাতিক উচ্চকক্ষ চাইছে এখন।

বিএনপিকে রাজি না করাতে পেরে পিআরের চাপ 
জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ কয়েকটি দল অনেক বছর ধরে পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। জামায়াত ২০০৫ সাল থেকে পিআর পদ্ধতির কথা বললেও, কখনও এ দাবিতে সোচ্চার ছিল না। জামায়াত গত মার্চে ঐকমত্য কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে নিম্নকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি ছিল না। এখন তারা এই দাবি করছে।

ইসলামী আন্দোলন অবশ্য তা চেয়েছিল। তবে ইঙ্গিত দিয়েছিল উচ্চকক্ষ পিআর হলে, নিম্নকক্ষ তারা বিদ্যমান পদ্ধতিতে মেনে নেবে। 

যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির শরিক জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও আনুপাতিক পদ্ধতির উচ্চকক্ষ চাইছে। 

একাধিক আলোচনা, দরকষাকষির পরও বিএনপি তার অবস্থান বদল না করায় এখন জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল পুরো নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি করছে। গত ২৮ জুন এ দাবিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন। 

দীর্ঘ আদর্শিক বিরোধ থাকলেও জামায়াতের নেতারা ওই সমাবেশে যান। ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ার প্রক্রিয়ায় থাকা দলগুলো বাদে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির নেতারাও যান।

পিআরের দাবিতে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে জামায়াতও। এতেও সংস্কারের সংলাপে কাছাকাছি থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ করা হবে। বিএনপির নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে এই দলগুলো মিলে বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতারও চেষ্টা চালাচ্ছে। 

জামায়াতের নেতারা পিআরের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। একই প্রচার চালাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত, জমিয়তসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল সরকার সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠতে পারে কিনা, তা সব রাজনৈতিক নেতাকে ভেবে দেখার অনুরোধ করব।’

ডা. তাহের সমকালকে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং স্বৈরাচারের উৎপাদনের পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পিআর লাগবে। 

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনূস আহমাদ সমকালকে বলেছেন, আমরা হঠাৎ করে পিআরের কথা বলছি না। দেড় দশক ধরে এ দাবি জানাচ্ছি। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তত শতাংশ আসন পাবে– এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি আর কী আছে?

জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন পিআরের দাবিতে অন্যান্য দলকে এক করলেও দুটি দলই বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াত ইতোমধ্যে ২৯৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে প্রশিক্ষণও শুরু করেছে। ইসলামী আন্দোলনও সংসদীয় আসনে প্রার্থী বাছাই করছে। 

জামায়াতের দু’জন জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেছেন, পিআরের দাবি না তুললে আনুপাতিক উচ্চকক্ষ মানানো যাবে না বিএনপিকে। বিএনপি আনুপাতিক উচ্চকক্ষ মেনে নিলে জামায়াত বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে। এই দুই নেতার মূল্যায়ন, পিআরের দাবিতে রাজপথে নামা চাপ তৈরি করতে পেরেছে বলেই তারেক রহমানও এ নিয়ে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ না থাকায় বিএনপি একা নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনেরও পরিবেশ নেই। ফলে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চাইলে জামায়াতসহ অন্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ লাগবে। অন্যরা রাজি না হলে নির্বাচনের অনিশ্চয়তা বাড়বে। 

তবে সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, পিআর নিয়ে সংলাপের সুযোগই নেই। কারণ, এমন কোনো প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশন করেনি। 

পিআরে বৃহত্তর সমঝোতা 
এনসিপি শুধু আনুপাতিক উচ্চকক্ষ চায়। নিম্নকক্ষে পিআর চায় না। একই অবস্থান এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের। কিন্তু এ দলগুলো ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে গেছে। এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ জামায়াতের সমাবেশেও যাবে। 

পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচনে নুরুল হক নুরকে সহায়তা করতে বিএনপি তৃণমূলে চিঠি দিলেও গণঅধিকার সভাপতি দলটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন। গত মঙ্গলবার জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ইসলামী এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতার আলোচনা চালাতে একমত হয়েছেন। 

পিআরের পক্ষে না থাকলেও এনসিপি কেন সমাবেশগুলোতে যাচ্ছে– এ প্রশ্নে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সমকালকে বলেন, সংস্কার নিয়ে দলগুলোর অবস্থান কাছাকাছি। এনসিপি আনুপাতিক উচ্চকক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটি চায়। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনও তা চায়। এই অবস্থানের কারণেই এনসিপি তাদের সমাবেশে যাচ্ছে। যাতে সংস্কারের বিষয়ে সমঝোতা অটুট থাকে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ভ ট র অন প ত র প রস ত ব প আর র দ ব ন ম নকক ষ র জন ত ক ব এনপ ক আসন প য় অবস থ ন দলগ ল র ব এনপ র বল ছ ন র জন য সমঝ ত আওয় ম সরক র ক ষমত ইসল ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

নুরু-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দ্রুত বিচার আইনের এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে। 

মামলার আইনজীবী ও জাপার জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিল বলেন, গত ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী নগরে ফকিরবাড়ি সড়কে জাপার কার্যালয় ভাঙচুর করেন। ঘটনার পর দলটির নেতাকর্মী থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। 

জলিল জানান, বেলা ১১টায় আদালতের আদেশসহ অভিযোগ থানায় পাঠানো হয়েছে। এ সময়ে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এসআই ডলি কাগজপত্র গ্রহণ করেন। মামলায় নুর, রাশেদ ছাড়াও গণঅধিকারের জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পদাক এইচএম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের ২৫ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

তবে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান গতকাল রাত ৮টায় সমকালকে জানান, জাপার মামলা-সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কোনো কাগজপত্র তিনি পাননি। ডিউটি অফিসার গ্রহণ করে থাকলে সেটা যথাসময়ে পাবেন।

গত ৩১ মে নগরীতে জাপার মিছিলে হামলা করে গণঅধিকার পরিষদ। তখন জাপার পাল্টা প্রতিরোধে গণঅধিকারের কর্মীদের বেদম মারধর করা হয়। রাত ৯টার দিকে গণঅধিকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোটবদ্ধ হয়ে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি রাশেদ খাঁনের
  • নুরু-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ