2025-07-31@12:29:48 GMT
إجمالي نتائج البحث: 24
«ন ম নকক ষ»:
আইন সভার উচ্চকক্ষ হবে ‘অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়নমূলক’ একটি স্তর, এটি সংসদের নিম্নকক্ষের বা সংসদে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য ও একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাবে—এমন চিন্তা থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন সভা গঠনের প্রস্তাব করে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। প্রায় সব দল দুই কক্ষের সংসদ গঠনের প্রস্তাবে একমত। কিন্তু উচ্চকক্ষের নির্বাচনপদ্ধতি ও ক্ষমতাকাঠামো প্রশ্নে মতবিরোধ কাটেনি। এটি নিয়ে সামনে আরও আলোচনা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হলেই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে, তা নয়। বরং এটি নির্ভর করবে কোন পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের নির্বাচন হবে, উচ্চকক্ষের কেমন ক্ষমতা থাকবে, সেটার ওপর। প্রস্তাবে উচ্চকক্ষকে আসলে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে শুধু সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে। এর বাইরে তার যে ক্ষমতা, তা অনেকটা আলংকারিক। তারপরও উচ্চকক্ষে বিল (আইনের খসড়া)...
বিএনপির ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে ভোটের অনুপাতে (পিআর) সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল। আনুপাতিক নির্বাচন না চাইলেও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিও এ দাবিতে সমর্থন দিচ্ছে। ভোটের অনুপাতে প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাবে বিএনপিকে রাজি করাতেই এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে। সংস্কারের চলমান সংলাপে দরকষাকষির কৌশল হিসেবে সংসদের নিম্নকক্ষে প্রচলিত আসনভিত্তিক নির্বাচনের পরিবর্তে পিআর পদ্ধতির দাবি তুলেছে তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব বিএনপি মেনে নিলে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য দলগুলো নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসবে। আনুপাতিক উচ্চকক্ষ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি না হওয়া কিংবা নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে দলগুলোর। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার...
সংসদীয় গণতন্ত্র সব দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটা মেনে নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। নতুবা প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতি হলো বিকল্প। দুই কক্ষ করে কোনোভাবে স্বেচ্ছাচারী সরকার ঠেকানো যাবে না।আমাদের দেশে অনেকবারই একনায়ক বা স্বেচ্ছাচারী সরকার এসেছে। প্রতিবারই তা হয়েছে দল বা নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতায়; সিস্টেমের ঘাটতি বা উচ্চ কক্ষের অনুপস্থিতির জন্য নয়। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কোনোভাবেই সফল হতে পারছে না। প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে নির্বাচন হয়। সংসদ গঠিত হয়; কিন্তু শৃঙ্খলা ও নিয়মতান্ত্রিকতা ফিরে আসছে না। নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র বা স্বেচ্ছাচারী বৃত্তে সরকার অদলবদল হচ্ছিল। বর্তমান সরকার আসার পর এর কারণ ও তার নিরাময়ের পথ খোঁজা হচ্ছে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারণটা সম্ভবত খুঁজে পেয়েছে। আমরা যাদের কাছ থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র শিখেছি, সেই ব্রিটিশদের দেশে ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেমে আছে দুটি কক্ষ। একটি উচ্চকক্ষ ও অপরটি...
ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্ঠনের প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন ৬০ নাগরিক। সোমবার বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ অন্তর্ভুক্ত করুন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অন্যতমরা হলেন- মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান, আলোকচিত্রি শহিদুল আলম, শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর, অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান, অর্থনীতিবিদ জিয়া হাসান, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠক ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. রুশাদ ফরীদি, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, ব্যারিস্টার মিতি ফারজানা, অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, প্রকাশক মাহরুখ মহিউদ্দীন প্রমুখ। ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০ দল এবং জোটের মধ্যে বিএনপিসহ ছয়টি চায় নিম্নকক্ষের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি...
সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন দফা আলোচনা করেও কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান এই আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে (১৬ জুলাই) সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের এখন খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।’সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এই পর্বে মৌলিক সংস্কারের ২০টির মতো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সাত দিনে...
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আংশিক পিআর সিস্টেম (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি) চাই। বর্তমান ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না। তাই ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচনে আংশিক পিআর সিস্টেম নিম্নকক্ষে ও পূর্ণ পিআর সিস্টেম উচ্চকক্ষে চালু করা প্রয়োজন।’আজ রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যতম। আমাদের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী ছিলেন। ফ্যাসিবাদী রেজিমের প্রধান শেখ হাসিনা আমাদের সংগঠন ও নেতৃত্বকে সরাসরি টার্গেট করেছিলেন।’ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান...
রাজনৈতিক ক্ষমতার ন্যায়সংগত বাঁটোয়ারার অভাব আমাদের রাজনীতির প্রধান এক সমস্যা। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ার কারণে আমাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা একটি বিন্দুতে বা ব্যক্তিতে কেন্দ্রীভূত হয়। এমন রাষ্ট্রকাঠামোতে অন্তর্নিহিত বন্দোবস্তের অধীন ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ বা বিতরণ সম্ভব হয় না। এ জন্য আলাদাভাবে ক্ষমতা বণ্টনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হয়।আমাদের মতো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’, অর্থাৎ ভোটে যিনি এগিয়ে থাকবেন, তিনিই জয়ী হন। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ভোট যা–ই হোক না কেন, হেরে গেলে তার পুরোটাই মূল্যহীন। এ নীতির কারণে ক্ষমতা বণ্টনের অন্যান্য পদ্ধতির অনুপস্থিতিতে বাস্তবে তা ‘উইনার্স টেক অল’ হয়ে যায়; পরাজিত ব্যক্তি বা দলের জন্য কিছুই থাকে না। আত্মগর্বী দল বা ব্যক্তির রাজনৈতিক মননের বিরাট উন্নতি ছাড়া একদম অল্প ভোটে হেরে সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টা মেনে নেওয়া...
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) নাম সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এনসিসির পরিবর্তে সংস্থাটির নাম সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা জানান আলী রীয়াজ।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। নতুন এই কমিটির কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে তাঁরা থাকবেন না। একই সঙ্গে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকারও এই কমিটিতে অন্তভুর্ক্ত থাকবেন না।সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির...
শ্রেণিকক্ষের আসবাব সরিয়ে নিজের শয়নকক্ষ বানিয়ে প্রায় দু’বছর ধরে বসবাস করছেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আতাউল হক খান চৌধুরী। রোববার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩১০১ নম্বর শ্রেণিকক্ষে বসবাসের জন্য রাখা হয়েছে বিছানা, এসি, ফ্রিজ, টিভি, আলনা, চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার ও জুতা রাখার তাক ইত্যাদি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির এক কর্মচারী বলেন, ‘স্যার (উপাধ্যক্ষ আতাউল হক) এখানে ২ বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন। বাড়ি ভাড়া পেলেও এখানেই থাকেন। গত কয়েকদিন ধরে ছুটিতে বাড়িতে আছেন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির এক শিক্ষক বলেন, ‘উপাধ্যক্ষ আতাউল হক দুর্নীতিতে লিপ্ত। কলেজের বিভিন্ন খাতের টাকা এদিক-সেদিক করেন। এর আগে যে কলেজে ছিলেন, সেখানেও দুদকের মামলা আছে।’ সমকালের অনুসন্ধানে জানা যায়, উপাধ্যক্ষ আতাউল হক এর আগে ফরিদপুরের রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের...
সংসদের উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচন নিম্নকক্ষের আসনসংখ্যার ভিত্তিতে করা হলে তা পুরোপুরি পণ্ডশ্রম হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এতে উচ্চকক্ষ হবে নিম্নকক্ষের পুরোপুরি রেপ্লিকা (অবিকল প্রতিরূপ)। এতে দলের আধিপত্য আরও নিরঙ্কুশ হবে, স্বৈরাচার আরও পাকাপোক্ত হবে। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন (পিআর): নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। নাগরিক কোয়ালিশন নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।আসনভিত্তিক হলে উচ্চকক্ষ ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’ পরিণত হতে পারে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারবেন না এবং অন্য কোথাও জায়গা নেই, তাঁদের উচ্চকক্ষে পুনর্বাসন করা হতে পারে। এ সময় মনোনয়ন–বাণিজ্যের শঙ্কার কথাও জানান তিনি।আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক দুটি পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ...
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতের এই অবস্থান তুলে ধরেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে থাকবেন। ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কাছও প্রস্তাব এসেছে। একটি প্রস্তাব হলো, সংসদ যদি উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে ৫০০ ইলেকটোরাল কলেজ। আরেকটি প্রস্তাব হলো, উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৭৬ করা।জামায়াত তিনটির যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি আছে বলে জানান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ভোটারের সংখ্যার বিষয়ে...
ফ্রান্সের আইনসভার নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারবিষয়ক একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে। এ পদক্ষেপকে দেশটিতে সংশ্লিষ্ট আইন পাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদে এক ভোটাভুটিতে ৩০৫ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৯ জন।নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে একজন রোগী নিজে বা চিকিৎসা সহায়তাকারীর মাধ্যমে তাঁর জীবনের অবসান ঘটানোর অনুমতি পাবেন—এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিলটিতে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বিলে সমর্থন দিয়েছেন। যদিও রক্ষণশীল কয়েকটি গোষ্ঠী বিলটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে।গতকাল মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় পরিষদের ৩০৫ আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৯ জন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বিলটিতে অনুমোদন দেওয়ার প্রশংসা করে একে ভ্রাতৃত্বের চেতনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন মাখোঁ।মাখোঁ পোস্টে লেখেন, ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার (রোগীর যন্ত্রণাহীন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত...
সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সরাসরি ভোটে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচন নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল সমকালে প্রকাশিত নিবন্ধের ওপর মতামত দিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই একমত, একটি আসনে একই সঙ্গে সাধারণ ও সংরক্ষিত সংসদ সদস্য থাকলে দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি হবে; যার প্রভাব ভয়াবহ হতে বাধ্য। সে কারণে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেছে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এই ব্যবস্থা চালু হলে অদূর ভবিষ্যতে এক ঝাঁক নারী নেত্রীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে এবং তারা পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন। কমিশন বর্তমান এক কক্ষের পরিবর্তে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর সুপারিশ করেছে। বর্তমান ব্যবস্থার মতো প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে ৪০০ আসনের নিম্নকক্ষ। এর মধ্যে ১০০ জন নারী ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসন থেকে সরাসরি নির্বাচিত হবেন। আইন পাসের ক্ষমতা থাকবে নিম্নকক্ষের কাছে,...
সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিএনপির বিপরীত অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কমিশন কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হবে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশন ১৬৬ সুপারিশ করেছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপর আলোচনা চলছে। জামায়াত ঐকমত্য কমিশনের ৭৭ সুপারিশে একমত, ৩৬ সুপারিশে আংশিক একমত জানিয়েছে। একমত নয় ৫৩ সুপারিশে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব সুপারিশে আংশিক একমত এবং একমত নয়, সেগুলো নিয়ে বৈঠক করছে কমিশন। কেন একমত না তাও জানতে চাইছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এটিকে মৌলিক সুপারিশ বলা হচ্ছে। বিএনপি এতে একমত না হলেও, প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে এনসিসির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে...
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না। একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী। পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। এই সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে, তাহলে এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করার কে। এটা যারা মানবেন না মনে করতে হবে, তারা হলো বিচার মানি; কিন্তু তালগাছটা আমার। আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আরও বলেন, নারী অধিকার...
বাংলাদেশে বিদ্যমান শাসনব্যবস্থার একটা বড় দুর্বলতা হলো এখানে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর যে একচেটিয়া ক্ষমতা রয়েছে, তার ফলে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এমনকি সাংবিধানিক সংস্থাগুলোও তার বাইরে থাকতে পারে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সব সময় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হয়। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের সব অঙ্গের সমন্বয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে একটি সমন্বিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা প্রয়োজন। এ লক্ষে৵ই সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কমিশন (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ করেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী এনসিসি গঠিত হবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উচ্চ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার, বিরোধী দল থেকে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি...
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বিদ্যমান। এই আইনসভার সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অর্থাৎ ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (এফপিটিপি) নির্বাচনী পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সাংবিধানিক কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই আইনসভা আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি আদায়ে কখনও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি, যা দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র কায়েমে ভূমিকা রেখেছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবনা অনুসারে, নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষের নাম সিনেট। এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব বা বিল উত্থাপন করবে নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষের এই ক্ষমতা থাকবে না। কমিশন উচ্চকক্ষকে মূলত একটি পর্যালোচনাকারী সংস্থা হিসেবে প্রস্তাব করেছে, যার কাজ হবে নিম্নকক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলগুলো পর্যালোচনা, সংশোধন এবং অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান...
কয়েক ঘণ্টা উত্তপ্ত বিতর্কের পর ভারতের পার্লামেন্ট একটি বিতর্কিত বিল পাস করেছে। এর মধ্য দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা মুসলমানদের দানকৃত বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি-সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মধ্যে নিম্নকক্ষ এটি অনুমোদন করে এবং শুক্রবার ভোরে উচ্চকক্ষ ওয়াক্ফ (সংশোধন) বিল ২০২৪ পাস করে। মুসলমান নেতা ও বিরোধী দলগুলোর মতে, বিলটি ‘অসাংবিধানিক’ এবং ভারতের মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু সরকার বলছে, বিলটির লক্ষ্য ওয়াক্ফ (মুসলমানের সম্পত্তি) ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ করা। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ার আগে সম্মতির জন্য দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। শিগগিরই অনুমোদন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিলটি পাস হওয়াকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। এক্স পোস্টে তিনি বলেছেন, ওয়াক্ফ ব্যবস্থা কয়েক দশক ধরে...
অর্থ বিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। তাদের এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সরকারি দলের সদস্যরাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।তবে কোনো প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে হেরে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দল ক্ষমতা হারাবে না। নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলে তিনি হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা সংসদে পাস হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য তাঁর দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন না। তাতে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি...
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।’ অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব...
রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে ‘গণতন্ত্র’ বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন আরো চারটি মূলনীতির সুপারিশ করেছেন তারা। বর্তমানে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার যে চার মূলনীতি রয়েছে সেগুলো হলো— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাহাত্তরে যে সংবিধান প্রণীত হয়েছিল, তাতে রাষ্ট্র পরিচালনার এই চার মূলনীতি গৃহীত হয়েছিল। বর্তমানের চার মূলনীতির মধ্যে শুধু ‘গণতন্ত্র’ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন পাঁচ মূলনীতির মধ্যে। সুপারিশ করা নতুন পাঁচটি মূলনীতি হলো— সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। আরো পড়ুন: ‘জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র ও মানবিক মর্যাদা অর্জন অসম্ভব’ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব করব: নবনিযুক্ত সিইসি অধ্যাপক আলী...
নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে এ সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত...
নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে এ সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত...