বজ্রপাতে গাছের ডাল ভেঙে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
Published: 6th, July 2025 GMT
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বজ্রপাত গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর এলাকার কান্দিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪৮) ও তার ছেলে নাঈম (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম মোস্তফা তার শিশু ছেলে নাঈমকে নিয়ে জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখে বাবা-ছেলে জমি থেকে উঠে একটি জাম গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় জাম গাছের ডালে বজ্রপাত পড়লে সেটি ভেঙে তাদের ওপরেই পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই গোলাম মোস্তফার মৃত্যু হয়। আহতাবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে পুকুরে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু
নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/মিলন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক